বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বিলটিকে সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী ও আত্মঘাতী আখ্যা দিয়ে একে আইন হিসেবে পাস না করার আহ্বানও জানিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বিলের ৮, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্বেগ ও মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা তাদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে বিতর্কিত ৩২ ধারার ডিজিটাল গুপ্তচর বৃত্তির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ অনুসরণের সুপারিশ করার দৃষ্টান্ত অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখজনক।’
প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারার অপপ্রয়োগের ফলে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য জানার আইনি অধিকার ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে এবং এতে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধের অধিকতর বিস্তার ঘটবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তাছাড়া, ধারাটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং যেকোনো ধরনের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে বলে মত দেন ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে তা সংবিধানের মূল চেতনা বিশেষ করে মুক্ত চিন্তা, বাক-স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশের পথ ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা বোধ সৃষ্টি করবে।
সরকার ও বিশেষ করে জাতীয় সংসদ এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে এসে বিষয়টি নিয়ে অংশীজনের সাথে আরো আলোচনা করবে বলে টিআইবি আশা প্রকাশ করেছে।