এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বোচ্চ প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে হজ সংক্রান্ত এক সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। তারা সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।’
২০২০ সালের তুলনায় সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর দাম বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর দাম বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। আজকে এ হারের পরিমাণ ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এটিও প্যাকেজ মূল্য বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া সৌদি আরবে সব খাতের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ, কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোয়াচ্ছাছা এর খরচ দ্বিগুণ হয়েছে, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
পড়ুন: স্বল্প সময়ে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ: হাব সভাপতি
এ বছর হজ ফ্লাইটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার
তিনি বলেন, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে সর্বমোট পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা, এটি ২০২০ সালের তুলনায় এক লাখ দুই হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হবে চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় এক লাখ দুই হাজার ১৫০ টাকা বেশি।
‘২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় প্যাকেজ ছিলো তিন লাখ ১৫ হাজার টাকার। এ বছর এই প্যাকেজটি রাখা হয়নি। ২০২০ সালে ঘোষিত ৩টি প্যাকেজে নিবন্ধিত হজযাত্রীরা ২০২২ সালে ঘোষিত দু’টি প্যাকেজের যে কোনো একটিতে স্থানান্তর করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।’
এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্যাকেজে যেতে ইচ্ছুকদের খরচ হবে চার লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার দুটি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান,‘২০২০ সালে যে সকল নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সনে নিবন্ধন চূড়ান্ত করবেন না অথবা হজে যেতে পারবেন না তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে এবং তারা বিধি মোতাবেক প্রদত্ত অর্থ ফেরত পাবেন।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজের হজযাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার মিটারের মধ্যে এবং দ্বিতীয় প্যাকেজের হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ এক হাজার ৫শ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন।
তিনি জানান, প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১শ জন এবং সর্বোচ্চ ৩শ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবেন। হজ এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্সির কাছে বিমানের টিকিট কেনার অনুমতি দেয়া হবে না। কোনো এজেন্সিকে কোন অবস্থাতেই ৩শর বেশি টিকিট প্রদান করা যাবে না।’
এ বছর যারা হজ করতে যাবেন তাদের পাসপোর্টের মেয়ার ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।