রাজধানীর ইস্কাটনে হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর ফলে সাময়িকভাবে গ্রহণ করা এ হাসপাতালটি আগামী অক্টোবর পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটিতে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেবার সব সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। করোনার এ দুর্যোগে এরকম একটি স্বয়সম্পূর্ণ হাসপাতাল কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারবে। এ হাসপাতালের মোট ৭০০ বেড থেকে ৫০০ বেড শুধুমাত্র কোভিড-১৯ রোগীদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।’
কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে আরও কিছু প্রয়োজন হলে সরকার তা প্রদান করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভীজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ হাসপাতালটিতে ১০টি আইসিইউ, ৭টি ভেন্টিলেটর, ৭টি ডায়ালাইসিস মেশিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এখানে আলাদা কেবিন রয়েছে ৭৫টিরও বেশি।’
হাসপাতালটিতে খুব শিগগিরই একটি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, ‘দেশে শুরুতে মাত্র মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সময়ে সরকার এখন ৩৫টি টেস্টিং ল্যাব চালু করেছে। প্রতিদিন ৫ হাজারের উপরে টেস্ট করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আরও ১৬টি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হলে টেস্টিং সংখ্যা দিনে ৮-১০ হাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে গত ৭ মে সরকারের স্বাস্থ্যখাতের সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রথম অবস্থায় চুক্তি অক্টোবর-২০২০ পর্যন্ত করা হলেও করোনার প্রকোপ না কমলে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. হাবিবে মিল্লাত।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল প্রমুখ।