সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের ভালো বন্ধু। আলোচনা করার মতো অনেক বিষয়ই আমাদের রয়েছে।’
ভার্চুয়ালি বৈঠকে এ সময় দুদেশের মধ্যে কিছু বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও ড. মোমেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী মঙ্গলবার প্রতিবেশী দুদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হবে। তবে সেখানে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস ফুলের তোড়াসহ নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন।’
চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্মদিনে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রয়োজন:শেখ হাসিনা
মোদি বলেন, ‘আপনার (শেখ হাসিনা) দূরদর্শী নেতৃত্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনার অবদান অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।’
শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং আরও অনেক বছর বাংলাদেশের মানুষের সেবার জন্য শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ গত বছরের ৫ অক্টোবর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোদির আমন্ত্রণে দিল্লি যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনিক ফোরাম আয়োজিত অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
ওই সফরকালে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১১ সালে উভয় দেশের সরকার তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে যে সম্মত হয়েছিল, বাংলাদেশের জনগণ তার বাস্তবায়ন শিগগির দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।
সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, সম্ভাব্য দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে তার সরকার সকল পক্ষের সাথে কাজ করছে।
জাতির পিতা বঙ্গাবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদির গত ১৭ মার্চ ঢাকা আসার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।
তবে ওই মার্চেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সাথে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন।