তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিলেন তা বের করার সুযোগ আমদের আছে...ইনশাল্লাহ কমিশন গঠন করা হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে পরামর্শ করার পর এ বিশেষ কমিশনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। তিনি ও তার প্রায় পুরো পরিবার নিহত হয়েছিলেন। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা জানত যে তার পরিবারের কোনো সদস্য বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া অসম্ভব,’ বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আনিসুল হক দাবি করেন যে বঙ্গবন্ধু খুনের ষড়যন্ত্রকারীদের মাঝে ছিলেন জিয়াউর রহমান। ‘জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন...যেহেতু আইন অনুযায়ী মৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না তাই তিনি বাদ পড়েছিলেন।’
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন তারা জিয়াউর রহমানের আমলে অনেকভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা বিশেষ কমিশন ও এর কাজের ক্ষেত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করে এ কমিশনের অনুসন্ধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার কাজে সীমিত থাকা উচিত,’ বলেন তিনি।
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি তারাই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
‘জাতির দাবি এ হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করা,’ বলেন তিনি।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।