তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ২-৩ বছরে দরিদ্রতা নিরসনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করব। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত হবে।’
সোমবার নগরীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, যদিও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরালো অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু সেই সাথে কিছু উঠতি বৈষম্যও রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দ্রুত নগরায়ণের দিকে ছুটলেও, দরিদ্রতা নিরসন নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে একই তালে হচ্ছে না। গ্রামীণ অঞ্চলে দরিদ্রতা প্রশংসনীয়ভাবে কমেছে, ২০১০ সাল থেকে ৯০ ভাগ কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে, শহরাঞ্চলে দরিদ্রতা দূরীকরণের মাত্রা অনেক কম এবং অতিদারিদ্র্য কমেনি, বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
‘২০১৬ সালে প্রতি চারজন বাংলাদেশির মধ্যে একজন দরিদ্র ছিলেন’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে গত দশকে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাথে সাথে দরিদ্রতা নিরসন বাড়েনি। বিশেষত দরিদ্রতা স্থবির হয়ে আছে, পশ্চিমাঞ্চলে বাড়লেও পূবাঞ্চলের বিভাগগুলোতে এর পরিস্থিতি অনেকটা ভালো।’
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধাক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বক্তৃতা করেন।