প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩-২৫ মে দোহায় অনুষ্ঠিতব্য বৈশ্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠ কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম: একটি নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’- শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।
এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।
দোহায় অবস্থিত ফোরামটি কৌশলগতভাবে এশিয়াকে আফ্রিকা এবং তার বাইরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য কাতারের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক হাব ও এলএনজি জ্বালানি প্রযুক্তির অন্যতম নেতা হিসেবে এর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।
আয়োজকরা বলেছেন, ফোরামে বৈশ্বিক নেতা এবং উদ্ভাবকদের একটি কিউরেটেড গ্রুপ রয়েছে, যারা বর্তমানের আরও কিছু প্রাসঙ্গিক চ্যালেঞ্জের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। কারণ তারা আমাদের ভাগ করা ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন-ইরাক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এস আল-সুদানী, জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি, রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি পল কাগামে, কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইও আকবর আল-বাকার, সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ, সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-জাদান,কাতারের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এবং কাতার এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও সাদ শেরিদা আল-কাবি।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে অন্যতম অতিথি হিসেবে রাখেন।
কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩ বিশ্বব্যাপী সমাজ ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এমন উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর ফোকাস করবে।
২০২৩ সালের আয়োজনে এই চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়নে একটি নতুন রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২২ মে দোহার উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং ২৬ মে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: কাতার চ্যারিটির খাদ্য সহায়তা পেল ৫৭,৯৭০ জন
বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটির নানাবিধ প্রকল্পে উপকার পেয়েছে ৩ লাখ মানুষ