পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।
সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে একটি বাড়িতে সোমবার মর্টার শেল এসে পড়ায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
নিহতদের একজনের নাম বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০) এবং অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, অনুশীলনেই পরিপক্কতা অর্জন করে: কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।’
মন্ত্রণারয় কূটনীতিকদের জানিয়েছে, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
২০১১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বিধানকে ‘অতি বৈষম্যমূলক’ (আইনী কর্তৃত্বের আওতা বহির্ভূত যে কোনও কাজ) এবং বাতিল ঘোষণা করে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নির্বাচন কমিশন বারবার বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল, এমনকি বিএনপি যোগ দিলে ইসি নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করতে ইচ্ছুক ছিল।
সরকার বলছে, বিএনপি এই 'অযৌক্তিক দাবিকে' তাদের প্রধান রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করে তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএনপি ও তার মিত্ররা সারাদেশে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে তা ২০০১, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তারা প্রায় এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন এবং পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই শতাধিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক হাজার যানবাহন ও প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনসহ অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এছাড়া প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৫০০ বেসামরিক লোককে আহত করেছে। এমনকি সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুই পুলিশ সদস্যসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ব্রিফিং নোটে বলা হয়,‘তারা আমাদের রেল ব্যবস্থায় নাশকতা চালিয়েছে, যার ফলে এক মা ও তার তিন বছরের শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এতে আরও অনেকে গুরুতর আহত হওয়াসহ পাঁচটি মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে।’
নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি ভয় ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য 'সহিংসতা বাড়িয়েছে'। নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে এবং ভোটারদের ভোট দিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দিতে বিএনপি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এতে চারজন যাত্রী নিহত হন। অনেকে গুরুতর আহত হন এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে, বর্তমান সরকার সমর্থিত একটি স্বাধীন ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিয়মভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে, সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে।
বিএনপির নির্বাচন বর্জন সহিংসতা এবং ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শনের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্পের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও আকাঙ্ক্ষাকে জোরদার করেছে।
এতে বলা হয়, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত।
ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস এবং বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনউপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
নয়াদিল্লি মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখবে উ. কোরিয়া: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারও ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে। ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে কোরিয়ান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
বিএনপির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও, একাংশ অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের আশ্রয় নিয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আশাবাদী প্রার্থীরা বিপুল ধুমধাম ও উৎসবের মধ্যেদিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে অবরোধ ও হরতাল করছে এবং আসন্ন নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে তাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ঢাকার বিদেশি মিশনের সঙ্গে ইমেলের মাধ্যমে শেয়ার করা হতে পারে।
সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ১৫ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি থেকে মোট ১ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪ জন, জাকের পার্টির ২১৮ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৫১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ জন এবং আরও কয়েকটি দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা করতে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এছাড়া এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৩ জন সাবেক বিএনপি এমপি ও নেতাসহ ৭৪৭ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ‘এটি আসন্ন নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক প্রকৃতিকেও প্রকাশ করে।’
এই বছরের ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশটিতে 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চাওয়ার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমরা এটাই দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, যেমনটা তিনি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র 'বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত' রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমি আমার আগের উত্তরেই এর জবাব দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচি বলেছেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে। প্রতিবেশি হিসেবে ভারত চায় বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকুক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হোক।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) নবনীতা চক্রবর্তী, শিলাদিত্য হালদার (ফাস্ট সেক্রেটারি, ইন্ডিয়া হাইকমিশন অব বাংলাদেশ) এবং ভারতে সফরত বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিক প্রতিনিধি দল।
আসন্ন নির্বাচন এবং এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা ও এ প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশের কিভাবে নির্বাচন হবে,বাংলাদেশের বিষয়ে সে দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সবসময় চায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ভারত সবসময় সম্মান করে।’
তিনি আরও বলেন, দেশটির স্বাধীনতা জয়ে ভারত পাশে ছিল, বর্তমানেও আছে, আগামীতেও থাকবে। আমাদের কাজ বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কোন্নয়ন করা। দু’দেশের সরকারই তা করে চলেছে। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কটা চমৎকার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে, সে দেশের জনগণের সঙ্গে। কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানে এমন কিছু নেই, ভারতে এমন কিছু হয় না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে যা বলা আছে, হয়তো সেটাই হবে। ওটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো, নিশ্চয় বাংলাদেশ তা করবে। বাংলাদেশের জনগণ তা করবে।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে একমত হাসিনা-মোদি
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ভারত কীভাবে দেখে এমন প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশ কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে সেটা তাদের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। যদি তারা মনে করেন তাদের ভালো, তবে তারা সেটাই বেছে নেবেন। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা চলে না। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক সবচেয়ে উঁচুতে।’
বাংলাদেশি নাগরিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় কর্মকর্তাগণ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতের সহায়তা, ধীরে ধীরে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) স্মিতা পান্ত বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের সস্পর্ক কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেটা নিয়েও কাজ করছে ভারত। দু’দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্ক বহু বছর আগে থেকেই। সম্প্রতি ভারতের ভিসা নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সাময়িক। শিগগির এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আপনারা ভ্রমণ করলে ভারতই লাভবান হয়। সুতরাং এ সমস্যা কেটে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের যোগাযোগ খাতে ভারত বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং করছে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল যোগাযোগ, ত্রিপুরার সঙ্গে রেল ও নদীপথের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য। সবশেষ দুই বছর উন্নয়ন খাতে ভারত অনেক কাজ করেছে। ট্রানজিট ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাণিজ্য ও রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে ভারত। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হচ্ছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ভারত এখন নিত্যনতুন উদ্ভাবন, সবুজ জ্বালানি, প্রযুক্তি প্রভৃতি দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের কানেকটিভিটি এবং উন্নয়ন সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড প্যানডেমিককালেও বাংলাদেশে ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম থেমে থাকেনি। তৃতীয় দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
গাজায় নারী ও শিশুসহ ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি ইসরাইলের অযৌক্তিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় এড়ানোতে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং এই অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এই অঞ্চলে স্থায়ী সমাধান ও শান্তির জন্য ইউএনএসসি রেজুলেশনের ভিত্তিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রামাদান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন ও ভালোবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা (যা ঘটছে) অগ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত ও চার্জি ডি'অ্যাফেয়ার্স ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি ও সমর্থন এবং ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের বৈধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও সমর্থন ব্যক্ত করেন।
এদিকে এ সময় হাজার হাজার তরুণ বাংলাদেশিও এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব