পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার খুবই দুঃখজনক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কিছু রাষ্ট্রদূত এবং নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ‘নেতিবাচক প্রচারকে খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মহাপরিচালক (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) তৌফিক হাসান বলেছেন, ‘এটি সত্যিই খুবই দুঃখজনক। কারণ একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার ২০-২৫ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছান। যদি তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে সরকার তাকে নিয়োগ দেয় না।’
তৌফিক হাসান সাংবাদিকদের প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন খুরশেদ আলম: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মহাপরিচালক বলেন, যারা রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তারা ভালো কাজ করছেন না এবং এর মাধ্যমে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।'
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তৌফিক বলেন, সরকার রাষ্ট্রদূতদের অবসরের পর চাকরির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় সাত থেকে আটজন রাষ্ট্রদূতের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং তাদের চাকরি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। আমার মনে হয় এটা সংস্কারের একটা অংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ
১ মাস আগে
সরকার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা এবং হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতা ও নাশকতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার(২৮ জুলাই) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ নিশ্চিত করছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কথিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং নিরপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার প্রতিশোধ বা হয়রানি না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার ঘটনাসহ হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সংশ্লিষ্ট ঘটনার দায় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে পারে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে বাড়াবাড়ি বা অন্যায়ের আশঙ্কা এড়াতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধ করে দেশে ইন্টারনেট ফেরানো ও দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের আহ্বান
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহত ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে বিবৃতিতে-
এক: অধিকাংশ শান্তিপূর্ণ ও ইস্যুভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
দুই: সরকার পুনর্ব্যক্ত করছে যে, সব ধরনের হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার হবে। নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে যারাই সংশ্লিষ্ট থাক না কেন নির্বিশেষে দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।
তিন: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় মোতায়েন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে 'দেখামাত্র গুলি' করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকে পড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাঁচ: অসাবধানতাবশত একটি সাদা আর্মড-পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) মোতায়েনের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। যেটিতে জাতিসংঘের চিহ্নটি মুছে ফেলতে রঙ ব্যবহার করা হলেও তা দৃশ্যমান ছিল। ওই এপিসিটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে দ্রুতই তা পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে জাতিসংঘের প্রতীক ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী পরিবহনের অন্যান্য ছবির প্রমাণের স্বপক্ষে কোনো ভিত্তি নেই।
ছয়: ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বর্তমানে সম্পূর্ণ কার্যকারিতাসহ চালু করা হয়েছে। অস্থিরতা এবং সহিংসতার পুরো সময়কালে তারভিত্তিক এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো কার্যকর ছিল।
সাত: প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সবসময়ই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং কারফিউ চলাকালীন অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'সরকার যেকোনো মূল্যে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মতামতের অধিকার সমুন্নত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।’
পরিশেষে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা সংঘটিত অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকার ১৪টি বিদেশি মিশনের চিঠি
৪ মাস আগে
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
বৃহস্পতিবার তার নতুন দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।
২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।
৭ মাস আগে
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।
সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
৮ মাস আগে
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে একটি বাড়িতে সোমবার মর্টার শেল এসে পড়ায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
নিহতদের একজনের নাম বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০) এবং অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
১০ মাস আগে
গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, অনুশীলনেই পরিপক্কতা অর্জন করে: কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।’
মন্ত্রণারয় কূটনীতিকদের জানিয়েছে, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
২০১১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বিধানকে ‘অতি বৈষম্যমূলক’ (আইনী কর্তৃত্বের আওতা বহির্ভূত যে কোনও কাজ) এবং বাতিল ঘোষণা করে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নির্বাচন কমিশন বারবার বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল, এমনকি বিএনপি যোগ দিলে ইসি নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করতে ইচ্ছুক ছিল।
সরকার বলছে, বিএনপি এই 'অযৌক্তিক দাবিকে' তাদের প্রধান রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করে তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএনপি ও তার মিত্ররা সারাদেশে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে তা ২০০১, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তারা প্রায় এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন এবং পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই শতাধিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক হাজার যানবাহন ও প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনসহ অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এছাড়া প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৫০০ বেসামরিক লোককে আহত করেছে। এমনকি সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুই পুলিশ সদস্যসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ব্রিফিং নোটে বলা হয়,‘তারা আমাদের রেল ব্যবস্থায় নাশকতা চালিয়েছে, যার ফলে এক মা ও তার তিন বছরের শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এতে আরও অনেকে গুরুতর আহত হওয়াসহ পাঁচটি মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে।’
নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি ভয় ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য 'সহিংসতা বাড়িয়েছে'। নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে এবং ভোটারদের ভোট দিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দিতে বিএনপি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এতে চারজন যাত্রী নিহত হন। অনেকে গুরুতর আহত হন এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে, বর্তমান সরকার সমর্থিত একটি স্বাধীন ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিয়মভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে, সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে।
বিএনপির নির্বাচন বর্জন সহিংসতা এবং ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শনের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্পের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও আকাঙ্ক্ষাকে জোরদার করেছে।
এতে বলা হয়, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত।
ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস এবং বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনউপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
১১ মাস আগে
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১ বছর আগে
নয়াদিল্লি মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখবে উ. কোরিয়া: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারও ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে। ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে কোরিয়ান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বিএনপির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও, একাংশ অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের আশ্রয় নিয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আশাবাদী প্রার্থীরা বিপুল ধুমধাম ও উৎসবের মধ্যেদিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে অবরোধ ও হরতাল করছে এবং আসন্ন নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে তাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ঢাকার বিদেশি মিশনের সঙ্গে ইমেলের মাধ্যমে শেয়ার করা হতে পারে।
সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ১৫ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি থেকে মোট ১ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪ জন, জাকের পার্টির ২১৮ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৫১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ জন এবং আরও কয়েকটি দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা করতে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এছাড়া এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৩ জন সাবেক বিএনপি এমপি ও নেতাসহ ৭৪৭ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ‘এটি আসন্ন নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক প্রকৃতিকেও প্রকাশ করে।’
এই বছরের ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে