বাংলাদেশ সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা আগস্টের রেমিটেন্সের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পেয়েছে। যেখানে সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের জন্য ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করায় সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
ব্যাংকাররা বলছেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো রেমিটেন্সের জন্য ডলারের বিনিময় হার ১০৮ টাকা নির্ধারণ করার পর এই পতন ঘটে।
বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রবাসীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ ও বিশেষজ্ঞরা। উপরন্তু, তারা বৈধ রেমিটেন্স চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডি পছন্দ করে। কারণ তারা ব্যাংক বিনিময় হারের চেয়ে ডলার প্রতি ৫-৬ টাকা বেশি পাচ্ছে।
বিনিময় হার নির্ধারণের কারণে রেমিটেন্স কমতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করেছিলেন ব্যাংকাররা।
এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো জানিয়েছে, রেমিটেন্সকে বেশি হার না দেয়ায় এবং ডলারের দাম নির্ধারণের পর প্রথম সপ্তাহে রেমিটেন্স কম এসেছে।
বর্তমানে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রতি ডলারে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে নির্ধারিত বিনিময় হারের কারণে হুন্ডির সঙ্গে ডলারের দামের পার্থক্য ব্যাংকিং চ্যানেলে অন্তত ছয় থেকে সাত টাকা।
আরও পড়ুন: ডলারের অভিন্ন দাম: রেমিট্যান্সের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ের জন্য ৯৯ টাকা
২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার