কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব বলেছেন, ৬ দফা আন্দোলন ছিল ইতিহাসের একটি মোড়, যা বাঙালিদের মধ্যে প্রতিরোধ ও সংকল্পের শিখা জ্বালিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি স্থাপন হয়, যার ফলে একটি মুক্ত ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং অগণিত দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগের কাছে ঋণী।’
কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের নতুন প্রজন্মের মাঝে এই দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান দেওয়ান।
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় এই ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করেছে।
হাইকমিশনের মিলনায়তনে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
একটি বিশেষ তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী দিনগুলোর প্রেক্ষাপট ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তারা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ৬ দফার গুরুত্বপূর্ণ, ভূমিকা এবং বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতায় এর অবদানের ওপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু ও ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির মুক্তির সনদ, ছয় দফা আন্দোলনের দাবিতে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল চলাকালে তৎকালীন পাকিস্তানি পুলিশ নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলি করলে ১১ জন বাঙালি শহীদ হন।
আরও পড়ুন: কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী ঢাকায়