তারা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মো. নুরুল ইসলাম, ইসমাইল প্রকাশ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, মো. ইউনুছ, মো. আলম প্রকাশ কালু, সাইফুল, ছলিম উল্লাহ, নুর কামাল ও মো. লালু মিয়া।
বুধবার বেলা ১১টায় মিয়ানমারের মংডু ১ নম্বর এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধি দল বিকালে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিতে পৌঁছায়।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান ও মিয়ানমারের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) পুলিশ লেফট্যানেন্ট কর্নেল ঝো লিন অং।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, গত ১০ নভেম্বর সেন্ট মার্টিনের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৯ জন জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ট্রলারটি স্রোতের টানে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়লে বিজিপি টহলদল ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত আনতে জোর প্রচেষ্টা চালায়।
একপর্যায়ে বিজিবির তৎপরতায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি আটক জেলেদের হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, ফেরত আনা ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।