তারা বলেন, জীবনমান উন্নয়নে তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।
সভায় উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ বক্তারা সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ অপরিহার্য বলে মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও দেশের প্রত্যেকের জন্য তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি।’
‘প্রত্যেকের জন্য তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এখনও অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে...তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
তথ্য কমিশনের একার পক্ষে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
‘কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে...তথ্য অধিকার আইনটি সমাজের সব স্তরে প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন সরকার তথ্য অধিকার আইনটি কার্যকর করেছে। ‘আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা সর্বদা এটাই চাই।’
তিনি বলেন, ‘তথ্য সরবরাহকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি অনুরূপ আইন বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা বিবেচনা করা উচিত। যাতে তারা নির্ভয়ে তথ্য সরবরাহ করতে পারেন।’
‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তথ্য সরবরাহকারী চাপের মধ্যে থাকেন,’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এবং তথ্য কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মিজান-উল-আলম বক্তব্য রাখেন।