জনবান্ধব ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
‘৫৩ বছর পরও পুলিশ বাহিনী কেন জনবান্ধব হয়ে উঠছে না? পুলিশ সংস্কার: কেন? কোন পথ?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন 'হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন'।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদ মীর মুগ্ধর আত্মীয় জাকিয়া শিশির বলেন, 'পুলিশের খারাপ আচরণের কথা আমরা প্রতিনিয়ত শুনে থাকি। কিন্তু কেন এটা খারাপ? ৫৩ বছর ধরে আমরা এটা শুনে আসছি। পুলিশের অভ্যন্তরে এ নিয়ে কি কোনো গবেষণা হয়েছে? আমাদের এই ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আমরা জনবান্ধব পুলিশ চাই।’
আরও পড়ুন: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইনের শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, 'পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে বড় অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। চাকরি পেলেই সেই টাকা তুলতে চান তারা। নিয়োগের সময় ঘুষ প্রথা বন্ধ না হলে পরে সবসময়ই টাকা আদায়ের প্রবণতা থাকবে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, 'আমি ডিএমপিতে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কাজ করেছি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রেশন পায়, আবার কেউ পায় না। এটাও এক ধরনের বৈষম্য।’
সাবেক ডিআইজি (ডিআইজি ডিআইজি) মেজবাউন নবী বলেন, 'আমরা মনে করি এটাই আমাদের শেষ সুযোগ। রাষ্ট্রীয় সংস্কার হোক বা পুলিশি সংস্কার, আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। পুলিশের অভ্যন্তরে র্যাব নামে একটি শাখা আছে, কিন্তু মাত্র ছয় দিনের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া মাত্র ছয় দিনের মদ্যে তাদের অস্ত্র ও দায়িত্ব দেওয়াই যথেষ্ট নয়। শুধু ৫৩ বছর নয়; আমি বলব, ৫৩ বছর ধরে পুলিশ বাহিনীতে একটি খারাপ সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে পুলিশের মধ্যে এই মানসিকতা তৈরি করা হয়েছে যে, তাদের শাসককে রক্ষা করতে হবে। অতএব, সংস্কার যথেষ্ট নয়; পুলিশের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।’
আরও পড়ুন: মাহমুদ জিনস কারখানায় কর্তৃপক্ষের ওপর হামলায় বিজিএমইএ’র উদ্বেগ