সংস্থার মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম ফরহাদ (অব.) বলেন, ‘খুলনা, বরিশাল, চাট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহীর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মোবাইল সাইট এ দানবীয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে টেলিকম সেবাকে ব্যাহত করে।’
ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সাথে সাথে অনেক অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে এমটব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিকভাবে অপারেটররা ব্যাটারির সাহায্যে মোবাইল টাওয়ারগুলো চালু রাখে। তবে ব্যাটারির ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য জেনারেটরের সাহায্য নেয়া হয়।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত টাওয়ারের প্রায় ৩০ শতাংশ বা ১৩ হাজার সাইট জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছিল না। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নিরলস পরিশ্রম অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক। তবে যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারগুলোর বেশিরভাগ পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত, তাই প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে সেবা পুনরুদ্ধারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন।
এদিকে, সারা দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল সেবা দানকারী ও তাদের অংশীদার সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেলিকম অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা জরুরি, যা চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।