বিটিআরসি চেয়ারম্যান রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা আদায়ে বিটিআরসির আইন অনুযায়ী আরবিট্রেশনের কোনো উপায় নেই, তবে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। পাওনা টাকা অপারেটরদের দিতেই হবে।’
‘গ্রামীণফোন সালিশের মাধ্যমে সুরাহা করার নামে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখতে চায় আমাদের সাথে আলোচনার পথ খোলা আছে। তারা যে কোনো সময় আসতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জহুরুল হক বলেন, আরবিট্রেশনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে আইন সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আইন সংশোধনের ওই প্রক্রিয়া শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে।
পাওনা টাকা না পেলে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত। আইন অনুযায়ী এ ধরনের ক্ষেত্রে অপারেটরের লাইসেন্স বাতিলসহ অন্য পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই পাওনা টাকা না দেয়ায় গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।
জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৪ হাজার ৮৫.৯৫ কোটি টাকাসহ গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের ১২ হাজার ৫৭৯.৯৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
অপরদিকে আরেক মোবাইল ফোন অপেরাটর রবির কাছ থেকে এনবিআর এর ১৯৭.২১ কোটি টাকাসহ ৮৬৭.২৩ কোটি টাকা পায় সরকার।
তবে রবিবার বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
পাশাপাশি রবির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি কর্মকর্তা শাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আরবিট্রেশনের মাধ্যমে বিবদমান বিষয়টি সমাধান করাই হলো সর্বত্তম পন্থা।’