চীনের শেনজেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করে হুয়াওয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে গভীরভাবে সহায়তা করে চলেছে। “ভিশন ২০২১” বাস্তবায়নে হুয়াওয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ বছর উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের পাব্লিক রিলেশনশিপ ডিরেক্টর ইয়ান লি এবং ইথিওপিয়া থেকে আগত ১০ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়েছে ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়েছে। বেইজিংয়ে তারা চীনা ভাষার উপর কোর্স করেছে এবং চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি ও তাইজি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। শেনজেনে গিয়ে শিক্ষার্থীরা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আইসিটির মূল প্রযুক্তিসমূহ, মোবাইল কমিউনিকেশনের বিভিন্ন জেনারেশন (১জি থেকে ৫জি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স), বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, এজ কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এবং ৪জি ও ৫জি বেইজ স্টেশন তৈরি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা ও প্রায়োগিক শিক্ষা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ “সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
এরপর গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা চীনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। বেইজিংয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।