ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের প্রসিডিংস সাময়িকীতে সোমবার প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, বিশালদেহী ও দীর্ঘজীবী হাঙ্গরের এই বিবর্তন সাফল্যের পেছনে কাজ করতে পারে একটি জিনগত পরিবর্তনের আধিক্য।
নোভা সাউথ-ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষকরা দেখেন, এই বৃহদায়তনের মেরুদণ্ডী প্রাণীর বিভিন্ন জিনে মলিকিউলার অভিযোজন জিনোম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে। সেই সাথে এক প্রজাতির ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করেছে। যার ফলে জিনোমের অখণ্ডতা বজায় থেকেছে।
এ ব্যাপারটির বিপরীত হলো জিনোম অস্থিতিশীলতা, যা ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। এতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ও বয়স-সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয় বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আগে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন যে প্রাণীর জীবনকাল ও কোষের সংখ্যা (বড় শরীর) অনুযায়ী ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ার কথা। সাদা হাঙ্গরের জিনোমের আকৃতি বিশাল। তা মানুষের তুলনায় দেড় গুণ বড়।
প্রত্যাশার বিপরীতে গিয়ে নতুন গবেষণায় দেখা যায়, বড় শরীরের প্রাণী মানুষের তুলনায় অধিক হারে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় না।