রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ৫৯তম আন্তর্জাতিক কাউন্সসিল সভা ও বার্ষিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তিতে সফল একটি দেশের নাম। এবারের সম্মেলনে ১৫টি সেশনের একটি বড় অংশজুড়ে ৫জি ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি থাকবে বলে জানান তিনি।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানান, এ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একদিকে যেমন নিজেদের প্রযুক্তি সম্ভবনা তুলে ধরতে পারবে, অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কও জোরদার হবে।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, সিটিও চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক ফিজির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থ, গণ উদ্যোক্তা, জনসেবা, যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী এবং দেশটির এটর্নি জেনারেল আইয়াজ সৈয়দ খাইয়ুম, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিউ) উপ-মহাসচিব মেলকম জনসন এবং কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ ছাড়াও অন্যান্য দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি, বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে।
এবারের এ ফোরামে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বৈশ্বিক সেবা তহবিলের পরিবর্তিত ধরণ, ওভার দ্য টপ সেবা, তরঙ্গ নিরপেক্ষতার প্রভাব, সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা সুরক্ষা নীতিমালা, ব্লক চেইন ও বৈশ্বিক সুবিধা, তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য প্রযুক্তিতে তারুণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, ৫৩টি দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন সম্মেলন শেষ হবে আগামী ৪ অক্টোবর।