গত ২ জানুয়ারি ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করে এই ক্যাপশনটিই দিয়েছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
২০ দিন পর মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছন তিনি।
এদিন বুলবুলকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
আমার সারা দেহ খেও গো মাটি এই চোখ দুটো মাটি খেও না, এই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পারে দাঁড়িয়ে এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে, সব কটা জানালা খুলে দাও না-সহ অসংখ্য গানে তার দেয়া সুর দেশের মানুষের বুকে চিরদিন বাজবে।
রাষ্ট্রপতির পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সূত্র জানায়, রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে শিল্পী বুলবুলের মরদেহ। পরের দিন বুধবার সকাল ১১টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে রাখা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের মরদেহ। সেখান থেকে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে তার দাফনের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।