শনিবার রাতে ভারতের জি বাংলা চ্যানেলে প্রচারিত বেশ কয়েকজন সহশিল্পী নিয়ে ভারতের জনপ্রিয় সুরকার ‘এ আর রহমান’ এর ‘খাজা মেরে খাজা’ গানটি গেয়ে নোবেল আবারও জয় করে নিলেন প্যানেল বিচারকসহ দুই বাংলার অগণিত ভক্তদের মন। এবার তার এই গান শুনে এক প্যানেল বিচারক রীতিমত মাথায় হাত রেখে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
বরাবরের মতো এবারও নোবেলের জাদুকরী দরাজ কণ্ঠের গানে মুগ্ধ হয়ে বিচারকসহ উপস্থিত দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাকে অভিবাধন জানান।
এছাড়া বিচারক প্যানেল সেরা নৈপুণ্যের জন্য গোল্ডেন গিটার প্রদান করলেও প্রথমে গানের মাঝেই নোবেলকে তা না দিয়ে বলেন, ‘তোমার পারফর্মেন্সকে গোল্ডেন গিটার দিয়ে খাটো করতে চাইনি। কারণ তোমার আজকের পারফর্মেন্স আউট স্ট্যান্ডিং।’ গোল্ডেন গিটার পাওয়ার চেয়েও বেশি কিছু।
বিচারক শান্তনু মৈত্র বলেন, ‘এটা কি হয়ে গেল এই মঞ্চে’। তিনি বলেন, নোবেলের এই গানটি ছিল অসাধারণ যার কাছে কিনা গোল্ডেন গীটারও অনেক ছোট ব্যাপার।
মোনালী ঠাকুর নোবেলের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই গানটি তার জীবনে চিরদিন মনে রাখার মতো একটি গান। নোবেলকে এত সুন্দর একটি গান পরিবেশন করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান।
অন্য বিচারক শ্রীকান্ত বলেন, ‘ভিন্ন ধরনের এই গান গেয়ে নোবেল আজ নিজেকে প্রমাণ করে দিল যে নোবেল সব ধরনের গান গাইতে পারে। সে যেকোন ধরনের গানে অভ্যস্ত। বিপরীতধর্মী গান গেয়ে সে নিজের ধারা নিজেই ভাঙলো। আর এটাই হচ্ছে একজন বড় শিল্পীর সবচেয়ে বড় গুন।’
এবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলের বাবা, দাদী এবং তার মামা। এ সময় তার বাবা বলেন, আজকে তার ছেলের জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অনেক পরিচিত ও জনপ্রিয়। এখন তাকে তার নামের থেকেও নোবেলের বাবা নামে বেশি চেনেন। এটি তার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। তিনি তার ছেলের সাফল্যের জন্য সারেগামাপা’র আয়োজককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।