তার ইচ্ছায় শনিবার আসর নামাজের পর সেখানেই মায়ের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে। ইতিমধ্যে কবর খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে কবর খোঁড়া শুরু করেন মো. জাফর (৬০), মো. সরওয়ার (৩০) ও ইমাম হোসেন (২০) নামে তিনজন নিকট আত্মীয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব বাচ্চুর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরণা ইউনিয়নের হলেও তিনি ছোটকাল থেকে বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম শহরে। নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার ও এনায়েত বাজারে তাদের বাড়ি থাকলেও তিনি থাকতেন নগরীর মাদারবাড়ীস্থ নানার বাড়িতে।
আইয়ুব বাচ্চুর মামা আব্দুল আলীম লোহানী ইউএনবিকে বলেন, ‘বাচ্চুর শেষ ইচ্ছা ছিল তার মায়ের পাশে যেন তাকে কবর দেয়া হয়।’
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রাম তথা দেশের সম্পদ ছিল। তার প্রতি আমরা কতৃজ্ঞ। তাকে স্বরণ করে আমরা তার স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছি এবং কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে দাফনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’
সকালে বেসরকারি বিমানে ঢাকা থেকে গুণী এই শিল্পীর মরদেহ চট্টগ্রামে আনার পর রাখা হয়েছে নগরীর মাদারবাড়ীস্থ নানার বাড়ির পাশে বালুর মাঠে। সেখানে হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী প্রিয় এ শিল্পীকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছেন। বাদ আসর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ বিশ্ব মসজিদ প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় মারা যান আইয়ুব বাচ্চু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।