সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার পর সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয় । চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ উপলক্ষ্যে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।
এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন, নজরুল গবেষক জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব এএফএম হায়াতুল্লাহ, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবদুর রাজ্জাক ভুঞা, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়, নজরুল ইন্সটিটিউটের সচিব মো. আবদুর রহিম, প্রফেসর কাজী মো. অলিউল্লাহ ও প্রফেসর আশুতোষ সরকার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা নজরুলকে সাম্যবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, নজরুলের ‘চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরনী তল, চলরে চলরে চল’ কবিতা আমাদের ব্রিটিশ বিদ্রোহ মানসকে শাণিত করেছে। তার ধুমকেতু পত্রিকায় নজরুল প্রথমেই স্বাধীনতার দাবি তোলেন উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, ভারতবর্ষের এক ইঞ্চি জমিও ব্রিটিশরা দখলে রাখতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তিনি।
বক্তরা বলেন, কবি কাজী নজরুল ‘আনন্দময়ী মায়ের আগমনী’ লিখে অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ১৯১৯ সালে নবযুগ পত্রিকা এবং পরে ১৯২২ সালে ধুমকেতু সম্পাদনা করেন। নজরুল ছিলেন প্রেমের কবি, তিনি ছিলেন বিদ্রাহী কবি।
আলোচকরা বলেন, নজরুল নিজেই ছিলেন নিজের শিক্ষক। নজরুল আমাদের প্রেরণা। নজরুল আমাদের পথপ্রদর্শক। নজরুলকে আমাদের হৃদয়ে অনুভূতিতে আনতে হবে। কবি নজরুলের আদর্শকে আমাদের অনুসরণের আহ্বান জানান বক্তরা।