বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সিনেপ্লেক্স শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
এসময় স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনেমা থিয়েটারের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনতিবিলম্বে সিনেমা হলসমূহ খুলে দেয়া, জরুরি আর্থিক সহায়তা, সিনেমা হলের টিকিটের ওপর সকল প্রকার মূসক ও কর মওকুফের সুযোগ প্রদান, সুদবিহীন ঋণের অনুমোদনসহ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানান তিনি।
শপিংমল কর্তৃপক্ষের প্রতি রুহেল বলেন, ‘স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিটি শাখা বিভিন্ন শপিং মলে ভাড়ায় পরিচালিত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া মওকুফ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেয়ার অনুরোধ করছি।’
রুহেল আরও বলেন, ‘আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চমৎকার উদাহরণ হতে পারে। সেখানে নির্ধারিত আসনের জন্য অল্পসংখ্যক মানুষ টিকিটের বিনিময়ে সিনেমা দেখে। অন্যান্য জনবহুল স্থানের তুলনায় এখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মানুষের বিনোদনের সুযোগ করে দেয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করি। স্টার সিনেপ্লেক্স বরাবরই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন।’
তিনি বলেন, ‘সিনেমা হলগুলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড বলা যায়। হল না বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন অনতিবিলম্বে দেশের হলগুলো খুলে দেয়া হোক। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেমা হল পরিচালনায় ব্যয় বেড়ে যাবে, তাই টিকিট থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করা হোক।’
চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব দাবি পূরণ না হলে তাদের সকল ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন মাহবুব রহমান রুহেল।
স্টার সিনেপ্লেক্স ২০০৪ সালে বসুন্ধরা সিটিতে বাংলাদেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা শুরু করে।