বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রকাশ্যে প্রেমের কথা স্বীকার না করলেও সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মনের মানুষের হাত ধরলেন মিথিলা। তবে তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হতেই মিথিলাকে নিয়ে মিডিয়ায় নানা রটনা শুরু হয়। সেই রটনা বা কটূক্তি থেমে নেই এখনো।
বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কেন মিথিলা মুসলিম হয়ে একজন হিন্দুকে বিয়ে করলেন, কোন স্বার্থে বিয়ে করলেন এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকি তাদের বিয়ে নিয়ে অনেক ভুল বার্তাও ছড়ানো হয়। তখন বন্ধু হয়ে মাঠে নামেন অনুপম রায়। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুরোধ করেছিলেন এরকম মিথ্যে কিছু না রটাতে।
আইনি বিবাহ সেরেই মিথিলা আর সৃজিত উড়ে যান জেনেভায়। সেখানে পিএইচডির রেজিস্ট্রেশন সেরে দুজনে গ্রিসে যান হানিমুনে। ফিরে এসে যে যার মতো কাজে ব্যস্ত। কিন্তু মিথিলার দিকে আঙুল তোলা বন্ধ হয়নি। এতদিন তিনি কিছু বলেননি, এবার আর মুখ বন্ধ রাখতে পারলেন না মিথিলা।
স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘আমি কোনো হিন্দু বা কোনো পরিচালকে বিয়ে করিনি। আমি এমন একজনকে বিয়ে করেছি যিনি মেধাবী। আমি জানি তিনি আমাকে ভালো রাখবেন। আর আমি তাকে খুব ভালোবাসি। এরপর আমার বিয়ে বা আমার স্বামী সম্পর্কে কোনো কথা বললেই কষিয়ে এক থাপ্পড়'।
তবে মিথিলার এই ট্যুইটে স্বামী সৃজিত মজা করে লেখেন, ‘অনেক হয়েছে পাগলি, এবার কাঁদাবি নাকি?' নেটিজেনরাও মিথিলার হয়েই কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন বাঙালি বাঙালিকে বিয়ে করেছেন আবার কেউ বলেছেন যে আপনাকে ভালো রাখবেন অবশ্যই আপনি তার সাথেই থাকবেন। উঠে এসেছে অশিক্ষা, ঘৃণা এবং নারীবিদ্বেষের প্রসঙ্গও। তবে সবাই মিথিলার ‘ভালো থাকাকেই’ অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
সূত্র: এই সময়