আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরিধান করে তারা দায়িত্বপালন করবেন।
গত সোমবার করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী- সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্য মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সরকারের এ নির্দেশনা পেয়ে মঙ্গলবার সকল জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সভা করেছেন।
সেনা সদস্যরা বুধবার মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবেন।
তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের তালিকা তৈরি এবং বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করার কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবেন। প্রয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেবে সেনাবাহিনী।
একইভাবে নৌবাহিনীর সদস্যরা উপকূলীয় এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে। আর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী এবং জরুরি পরিবহনের ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করার দায়িত্ব পালনের সময় নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পিপিই পরিধান করবেন। আমরা বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বপালন শুরু করব।
আইএসপিআর পরিদপ্তরের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ছয় উপকূলীয় এলাকার ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- ভোলা জেলায় সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহন এবং তাজমুদ্দিন; চট্টগ্রামের সন্ধীপ, নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর; কক্সবাজারের টেকনাফ, কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী; বাগেরহাটের সদর ও মোংলা এবং বরগুনার আমতলী, বেতাগি, বামনা, পাথরঘাটা ও তালতলী।
এসব উপকূলীয় উপজেলায় এরই মধ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা শুরু করেছে নৌ বাহিনীর সদস্যরা। নতুন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাদের নিয়মিত টহল দেয়া অব্যাহত রেখেছেন তারা।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চতুর্থ রোগীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এদিন নতুন করে আরও ছয়জন এ রোগে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মোট সংখ্যা ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এরইমধ্যে পাঁচজন রোগী আরোগ্য লাভ করায় বর্তমানে দেশে ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে।