চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে এই চক্রের বেশি সক্রিয়তা দেখা গেছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সড়কের পাশ থেকে হারিয়ে যাবে বড় বড় বৃক্ষ এমনটিই মনে করছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সারাদেশের মতো সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার মানুষ করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম,পাড়া মহল্লায় চলছে অঘোষিত লকডাউন। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনীরও জোরে সোরে টহল চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সড়কের পাশে সরকারি গাছ অভিনব কায়দায় কেটে নিচ্ছে এই চক্র।
সরেজমিনে ইউএনবির এই প্রতিনিধি চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে দেখেন, পৌরসভার সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন একটি কড়াই গাছ, চাঁদপাড়া কলেজের সামনে ও ফাঁসতলা মেইন সড়কে বেশ কয়েকটি বড় বড় কড়ইগাছ অভিনব কায়দায় কাটা হয়েছে। রাতের আঁধারে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গাছগুলোর চারপাশ কেটে রাখা হয়েছে। মূলকাণ্ড থেকে ছাল কেটে ফেলায় গাছটি কিছু দিন যেতে না যেতেই মারা যায়। এর পর সুযোগ বুঝে ওই চক্র গাছটি কেটে নিরাপদে নিয়ে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, সড়কের পাশে বড়বড় গাছের কারণে অনেকের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, অনেকে আবার বসতবাড়ি থাকায় গাছগুলোকে সমস্যা মনে করছে। এ কারণে জমি মালিক অথবা বসবাসকারীরা কৌশলে রাতের আঁধারে গাছ কেটে ফেলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারাই এই কাজের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
এব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য দেওয়ান তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সড়ক থেকে অভিনব কায়দায় গাছ কাটার খবরটি আমাদের জানা আছে। কারা কেন এই সরকারি গাছ ধ্বংস করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারাই এই জঘন্য কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের চাঁনপুর মোড় হতে পিতাম্বরপুর মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছ একই কায়দায় কেটে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ ওই মরা, শুকনা গাছ কেটে তা স্থানীয় ডাকবাংলো মাঠে জড়ো করে রাখে। ওই সড়কের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কেও, এমনটিই মনে করছেন অনেকে।