কুষ্টিয়ার সর্ববৃহৎ পশুর হাট সদর উপজেলার আলামপুরর বালিয়াপাড়া মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সাপ্তাহিক এ হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাউকেই মুখেই মাস্ক নেই। অথচও জেলায় প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এমন পরিস্থিতিতে হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, হাটে অন্তত পক্ষে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার ছিল।
এদিকে, ঈদের বেশ কিছুদিন সময় থাকায় হাটে হাজার হাজার পশু উঠলেও ক্রেতাদের তেমন কোনা সাড়া নেই বল জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তারা জানান, কোরবানির ঈদের আগে এখানকার হাট-বাজার থেকে ব্যাপারীরা গরু কিনে ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। এবার সেই সংখ্যা অনেক কম। জেলায় বড় পশুর হাট রয়েছে ১২টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও ছোট ছোট হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-ছাগল নিয়ে আসছে খামারিরা।
শনিবার জেলার সবচেয়ে বড় পশু হাট বসেছিল সদর উপজেলার আলামপুরর বালিয়াপাড়া মাঠে। সাপ্তাহিক এ হাটে গ্রামের হাজার হাজার কৃষক গাদাগাদি করে পশু বিক্রি করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে ছিল না কোনো সামাজিক দূরত্ব বা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানার। বেশিরভাগ মানুষের মুখেই ছিল না কোনো মাস্ক।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, শুধু সদর উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৩০ জন। সোমবার জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। জেলায় মোট আক্রন্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁই ছুঁই। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কোনো নজরদারি ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটিয়ে পশু হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘হাটে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছিল। এতো মানুষের ভিড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে নামানো কঠিন। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’