বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মানুষ তাদের শহরটি গড়ে তোলার জন্য ফের একবার একতার শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে।
পুরস্কার বিজয়ী স্থপতি দম্পতি খন্দকার হাসিবুল কবির ও সুহেলি ফারজানা ঝিনাইদহের বাসিন্দা। তারা স্থানীয়দের একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
জেলা শহরটির সাবেক ও বর্তমান মেয়রও এই উদ্যোগে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ ও আর্থিক সহায়তা, নারীদের ব্যাপক সম্পৃক্ততা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় কর্মীদের সহায়তায় ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীর গতিপথ পরিষ্কার করার আপাতদৃষ্টিতে সহজ উদ্যোগ; সহজলভ্য উপকরণ ও নির্মাণ কৌশল দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ও স্বল্পব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এভাবে একটি পরিত্যক্ত অনানুষ্ঠানিক আবর্জনা ফেলার স্থান একটি আকর্ষণীয় ও জনগণের চলাচলযোগ্য বহুমুখী স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে; যা এখন ঝিনাইদহের মানুষের কাছে গর্বের বিষয়।
প্রকল্পটি নদী, এর তীর এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিবেশগত অবক্ষয় কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এর পরবর্তী করণীয়গুলো হলো- নদী এলাকা জনসাধারণের ব্যবহারের সুবিধার্থে হাঁটার পথ, বাগান ও সাংস্কৃতিক সুবিধা তৈরি এবং নদীতে জীববৈচিত্র্য বাড়ানোর জন্য পরিবেশগত উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া।
ঝিনাইদহের স্থপতি এই দম্পতির নির্মিত আরবান রিভার স্পেস প্রকল্পটি স্থাপত্যের জন্য ২০২২ সালে আগা খান পুরস্কার লাভ করে।
ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, ‘ঝিনাইদহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আমি আপনাদের সাহায্য করব। নদী যে কোনো শহরের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং আমাদের জন্য আশীর্বাদ যে আমাদের শহরে একটি নদী আছে।’
মেয়র জাহেদী জানান, তিনি তার পূর্বসূরি সাইদুল করিম মিন্টুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করে আধুনিক ও সুন্দর ঝিনাইদহের উন্নয়নে কাজ করবেন।