স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মজুচৌধুরীরহাটের অবস্থান। এখানকার লঞ্চঘাট দিয়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে নৌবন্দর নির্মাণ করার।
এই দাবির প্রেক্ষিতে, ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুরে নৌবন্দর নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে, একই বছরের ১২ জানুয়ারি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা জরিপ করা হলেও বর্তমানে থেমে আছে প্রকল্পটির কাজ।
অভিযোগ রয়েছে, বিআইডব্লিউটিএ'র বিরুদ্ধে হাইকার্টে ঘাট ইজারাদারের দায়ের করা মামলাসহ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র যৌথ সার্ভে কমিটির সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে ঘাট ইজারাদার আলমগীর হোসেন মেম্বার বলেন, ‘আমার দায়ের করা মামলার সাথে নৌবন্দরের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও প্রশাসন চাইলে আমি মামলা প্রত্যাহার করে নেব।’
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘মামলার বাদীর সাথে কথা হয়েছে। এছাড়া, নৌবন্দর নিয়ে যৌথ জরিপের জন্য আটজন সার্ভেয়ার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
জরিপের কাজ শেষ হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নৌবন্দরের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।