মঙ্গলবার চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই চুক্তিটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বে মানব গতিশীলতা বুঝতে সহায়তা করে। তবে এটি যদি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয় মাইগ্রেশন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। জীবন হারানো থেকে শুরু করে অধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। খবর এপি।
গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এই চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন অভিবাসী বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
দেশগুলোতে বসবাস এবং কাজের অনুমতি বাড়ানো, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিয়মিত করা এবং আটক না করে বিকল্প পথ অনুসরণের মতো উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ অভিবাসীদের অনিরাপদ মনে করে তাদের ফেরার বিষয়টি স্থগিত করেছে। অন্যদেশগুলো যারা ফিরেছেন বা যারা নির্বাসিত হয়েছেন তাদের সমর্থণ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।’
সমাজকে ‘ঘৃণার ভাইরাসের বিরুদ্ধে’শক্তিশালী করুন
‘আরও অনেক কিছু করা উচিত ’ উল্লেখ করে জাতিসংঘের প্রধান এই জাতীয় উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
গুতেরেস তিনটি মূল সুপারিশের কথা উল্লেখ করেন যার মধ্যে প্রথমটি হলো সহযোগিতার চেতনা ধারণ করা।
তিনি বলেন, ‘কোনো দেশ একা অভিবাসন সমস্যাকে সমাধান করতে পারবে না।’
কোভিড-১৯ মহামারি প্রবাসী শ্রমের মূল্য তুলে ধরেছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ প্রধান দেশগুলোকে ন্যায্য ও নৈতিক নিয়োগ নিশ্চিতকরণের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের অবদানকে ‘অর্থপূর্ণভাবে’ স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান।
পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায় ও অভিবাসীদের মধ্যে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও সংহতি জোরদার করা এবং বৈষম্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত বলে জাতিসংঘের প্রধান জানান।
তিনি বলেন ‘অভিবাসীদের চিকিত্সা ও অন্যান্য সরকারি সেবা দেয়া থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। ঘৃণার ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সমাজের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে হবে।’