বুধবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫১৯টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার উপকূলীয় সুলাওয়েসী দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির ২০ ফুট উচ্চতার বিশাল ঢেউ বিভিন্ন শহরের ওপর আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় পালু শহর।
পরপর দু’টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য স্থাপনাসহ হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে মসজিদ, শপিং মল, হোটেল, হাসপাতাল, সেতু, রাস্তাঘাট। পালু বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে বুধবার জোকো উইদোদো পালু শহর পরিদর্শন করে হতাহতদের জন্য সহযোগিতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
পরপর দু’টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহর। এখানে বসবাসকারী তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় ৯.১ মাত্রা প্রচণ্ড ভূমিকম্প ও সুনামিতে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।