যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওই ৫২টি টার্গেট বাছাই করে রেখেছে বলে শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এসব হামলা ‘খুব দ্রুত ও অত্যন্ত ভয়াবহ’ হবে।
এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি টার্গেট নির্ধারণ করেছে। যার মধ্যে এমন কিচু টার্গেট রয়েছে, যা ইরান ও ইরানের সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উঁচু স্তরের। আর ওই টার্গেটগুলোতে খুব দ্রুত ও অত্যন্ত কঠিন আঘাত হানা হবে।’
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ইরানের জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর হোয়াইট হাউজ থেকে কংগ্রেসে বেশ কয়েকটি টুইট এসেছে।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী মার্কিন সৈন্যরা যদি কোনো দ্বন্দ্ব বা এমন কোনো পরিস্থিতিতে পরে যা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সতর্কীকরণ বার্তা (নোটিফিকেশন) দিতে হবে। আর এ বার্তা হবে অনেক গোপনীয়।
৫২টি টার্গেটের কারণ প্রসঙ্গে ট্রম্প জানান, ১৯৭৯ সালে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়ার পর পরবর্তী এক বছর ধরে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। এসব টার্গেট তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান তিনি।
ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পর ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেতা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর যদিও কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান।
দেশটির এমন হুমকি প্রসঙ্গে ট্রাম্প আবারো সর্তক করে দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।’
এদিকে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত কাসেম সোলেইমানির জানাজার বিশাল মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পরে শনিবার সন্ধ্যায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদ কেঁপে ওঠে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে।
ইরাকের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। তবে ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।