বিবিসি বাংলা’র এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার আগে অন্তত ছয়টি পরীক্ষার ফলাফলে আসে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।
এদিকে, চূড়ান্তভাবে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়ার আগেই শুধু উপসর্গ থাকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরা হচ্ছে। যার কারণে এক দিনে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়, যা এই প্রাদুর্ভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের সমান।
পরীক্ষাগুলো কী এবং এগুলোতে কী সমস্যা রয়েছে?
পরীক্ষায় ভাইরাসের জেনেটিক কোড খোঁজা হয়। রোগীর কাছ থেকে একটি নমুনা নেয়া হয়। পরে পরীক্ষাগারে ভাইরাসের (যদি থাকে) জেনেটিক কোড বের করে তা বার বার কপি করা হয় যাতে তা শনাক্ত করা যায়।
‘আরটি-পিসিআর’ নামে এই পরীক্ষা এইচআইভি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এবং এটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।
‘এগুলো খুবই শ্রমসাধ্য এবং জোরালো পরীক্ষা যাতে ভুলভাবে নেতিবাচক ফল (লো ফলস-নেগেটিভ) বা ভুলভাবে ইতিবাচক ফল (লো ফলস-পজিটিভ) আসার হার খুবই কম, বলেন কিংস কলেজ লন্ডনের ডা. নাথালি ম্যাকডারমট।
কিন্তু ভুল কী হচ্ছে?
রেডিওলোজী জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে ৫ জনের পরীক্ষায় আসে যে তাদের সংক্রমণ নেই। তবে ফুসফুসের স্ক্যান পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে তারা আক্রান্ত।
এমন আরও অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন ডা. লি ওয়েনলিয়াং-ও। যিনি এই রোগ সম্পর্কে প্রথম উদ্বেগ জানিয়েছিলেন এবং এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর চীনে নায়কোচিত মর্যাদা পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, বিভিন্ন সময় পরীক্ষার ফলে আসে যে তিনি সংক্রমিত নন। কিন্তু শেষমেশ তিনি এতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন।
একই ধরণের ঘটনা সংক্রমণের শিকার অন্য দেশগুলো যেমন সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও পাওয়া যায়।
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডা. ন্যান্সি মেসোনিয়ার বলেন, করোনাভাইরাসের অনেক পরীক্ষায় ‘অমীমাংসিত’ ফল আসছে।