জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ২৭১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ৪২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৩২ জনে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬২ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৯৭ হাজার ৪৯৭ জন।
আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাস থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৪০৪টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৫টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০.৭১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৬৬ শতাংশ।
নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ এবং নারী আটজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৬৩ জন বা ৭৭.৩৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ১৮৮ জন বা ২২.৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.৭৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।