চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত সেন্টার ফর আরবান ফিউচারের ‘স্টেট অব চেইন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ১২ মাসে শহরটিতে থাকা কমপক্ষে এক হাজার ৫৭টি চেইন স্টোর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডুয়ানে রিডসের ৭০টি, স্টারবাকসের ২২টি এবং পেপ্রাইসিসের ২২টিসহ রেকর্ড সর্বোচ্চ চেইন স্টোর তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আরবান ফিউচার ১৩ বছর আগে তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর থেকে পূর্ববর্তী সব রেকর্ড ভেঙে এবার ১৩.৩ শতাংশ চেইন স্টোর কমেছে। গত বছর চেইন আউটলেট বন্ধ হয়েছে ৩.৭ শতাংশ। যা ২০১৮ সালে ছিল মাত্র ০.৩ শতাংশ।
সেন্টার ফর আরবান ফিউচারের নির্বাহী পরিচালক জোনাথন বোলেসের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, ‘জাতীয় চেইন শপগুলো যদি এভাবে বন্ধ হয়ে যায় তবে আমাদের ধারণা হচ্ছে স্টোরে কেনাকাটা করতে যাদের ক্ষমতা বা অর্থের পর্যাপ্ত যোগান নেই তাদের জন্য দ্বিগুণ খারাপের খবর হবে এটি।’
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন অনুমোদনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে ম্যানহাটনে সবচেয়ে বেশি ৫২০টি চেইন শপ বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শহরটির প্রায় অফিসের অর্ধেক কর্মী, পর্যটক এবং বাসিন্দা শহরের বাইরে চলে গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে স্যান্ডউইচ তৈরির দোকানগুলো, যারা বিভিন্ন অফিসের কর্মীদের মধ্যে খাবার সরবরাহ করত। মার্চ থেকে বাসায় বসে কর্মীরা কাজ করার ফলে তাদের অর্ডার কমে গেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলো সোমবার থেকে করোনার ভ্যাকসিন পাবে
অন্যদিকে, প্রায় ৪০টি চেইন-শপ তাদের বহরে নতুন স্টোর খুলতে পেরেছে। তার মধ্যে ফাস্টফুডের নেতৃত্বদানকারী পেপ্রাইসিস ফ্রাইড-চিকেন ১১টি নতুন স্টোর খুলেছে।
জোনাথন বোলেস বিশ্বাস করেন যে খাদ্য-খাতে চাহিদাটা কমে যাওয়াটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাময়িক মহামারি শেষে আবার অফিসগুলো খুলে দেয়া হলে এবং কর্মীরা যোগ দিলে পুনরায় বাড়বে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: রাষ্ট্রদূত মিলার