বৃহস্পতিবার দেশটির বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জরুরি ব্যবহারের জন্য মডার্নার ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ওই সুপারিশ গ্রহণ করে ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ার কথা জানায় এফডিএ।
এফডিএ কমিশনার স্টিফেন হ্যান এক বিবৃতিতে জানান, নিয়ন্ত্রকরা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নাকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি জানিয়েছেন, যারা জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এর আগে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যরা ২০-০ ভোটে মডার্নার ভ্যাকসিনকে অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তাদের মতে, ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
এফডিএ’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে ফাইজার-বায়োএনটেকের পর এটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন।
এছাড়া অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সিং হোমের বাসিন্দাদের জন্য নির্ধারিত লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো শুরু করবে মডার্না, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচির প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে।
কোভিড-১৯: যুক্তরাজ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেল ফাইজারের ভ্যাকসিন
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় এফডিএ।
ফাইজারের মতো মডার্নার ভ্যাকসিনও সমান কার্যকারিতা দেখিয়েছে। বর্তমানে মার্কিন এই ওষুধ সংস্থাটি ৩০ হাজার মানুষের ওপর তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে, যেখানে মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা এরইমধ্যে তিন লাখ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত সোমবার থেকেই দেশটির রাজ্যেগুলোতে কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া শুরু করে মার্কিন প্রশাসন।
প্রথম দফায় চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং নার্সিংহোম বাসিন্দাদের ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। দ্রুত পরিবহন করা এই ভ্যাকসিনের মূল বিষয়, কারণ এটি অত্যন্ত স্বল্প তাপমাত্রায় (মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রাখতে হয়।
চলতি সপ্তাহান্তেই ভ্যাকসিনের প্রথম ৩০ লাখ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যে পৌঁছে যাবে বলে জানান ফাইজারের ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডএক্স এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড স্মিথ।
ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর
এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন এবং সৌদি আরবে অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের এই ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারও শুরু করেছে যুক্তরাজ্য।
চিকিৎসক, বয়স্ক নাগরিক এবং নার্সিংহোমে থাকা বাসিন্দাদের পর আগামী জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হতে পরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইজারের পর আশা দেখাচ্ছে মর্ডানার করোনা ভ্যাকসিন
এদিকে মডার্নার কাছ থেকেও ২০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মার্চের মধ্যে পর্যাপ্ত করোনা ভ্যাকসিন এসে যাবে