পাশাপাশি করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুটি করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। ফাইজারের পর গত সপ্তাহে মর্ডানার ভ্যাকসিনও অনুমোদন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:দেশের ৪.৫ কোটি মানুষের জন্য কোভিড টিকা মিলবে মে-জুনের মধ্যে
দেশটিতে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। সেখানে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৪৮৩ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত। অন্যদিকে এরপরই রয়েছে টেক্সাস। সেখানে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২ হাজার ৯৮৮ জন। এছাড়া ফ্লোরিডায় ১২ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন, ইলিনয়ে ৯ লাখ ৫ হাজার ৬৯ এবং নিউইয়র্কে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের নতুন ‘ধরন’ কতটা উদ্বেগের কারণ?
জেএইচইউ প্রকাশিত তথ্য বলছে, অন্যান্য অঙ্গরাজ্য ওহিও, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, টেনিসি ও মিশিগানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বে মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে।
গত ১৭ ডিসেম্বর দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ। মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে আরও ১০ লাখ মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহারই সমাধান হলে অবহেলার সুযোগ নেই: বিশেষজ্ঞদের মত
দেশটিতে গত সপ্তাহে রেকর্ড পরিমান করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেছে। ১৮ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭০৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। মহামারি শুরুর পর একদিনে যা সর্বোচ্চ।
এছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর একদিনে ৩ হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যা মহামারি শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৬ জনে।
আরও পড়ুন: বায়োএনটেক-ফাইজার টিকা ব্যবহারে ইইউ’র শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪২ জনে।
এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার জানানো হয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৩১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ২ হাজার ১৮৩ জনে।