সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা ৬০ বছর বয়সী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেছেন।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ওই রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে এবং সেখানের কোভিড-১৯ পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী সান্তা কুমার দাস বলেন, ওই রোগী এখন পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ৩০ বছর বয়সী একজনের রক্ত নেয়ার পরে ৩০ জুলাই চিকিৎসকরা বৃদ্ধ রোগীকে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দেন।
দাস বলেন, ‘আমরা এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়ার আগে ওই রোগীর ৮০-৯০ শতাংশ অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল।’
প্লাজমা থেরাপি দেয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরে ওই রোগীর মাত্র ২৪-২৮ শতাংশ অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওই হাসপাতাল ভালোভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর ক্ষেত্রে এটি সফল ঘটনা বলে ধরে নেয়া হয়েছে এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ভাইরাসটি ধরা না পড়লে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি সর্বজনস্বীকৃত নয়। তবে, এ থেরাপি অনেক দেশে পরীক্ষামূলক হিসেবে অনুশীলন করা হচ্ছে।
দাস জানান, নেপালে নির্ধারিত ১২টি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি অনুশীলন করা যেতে পারে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, হিমালয়ের দেশটিতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭৫০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। করোনায় মৃত্যুর হয়েছে ৫৭ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে এ বছরের মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করে।
জেএইচইউর তথ্য থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ পেরিয়ে গেছে।