জেনসেনের কোভিড-১৯ টিকা জেএনজে-৭৮৪৩৬৭২৫-এর একটি ডোজ প্রয়োগ করার পর তা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ রোধ করতে পারবে কি না তা মূল্যায়ন করতেই এ পরীক্ষাটি চালানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রায় ২১৫টি গবেষণা কেন্দ্রে ৬০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবী এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
জনসন অ্যান্ড জনসনের আওতাধীন জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এ টিকা উদ্ভাবন করেছে এবং বিধি অনুযায়ী তারা তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ টিকার জন্য এটি বড় পরিসরে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চতুর্থ ঘটনা।
বাকি তিনটি পরীক্ষার টিকাগুলো হলো- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের কোম্পানি ভ্যাসিটেক উদ্ভাবিত এজেডডি১২২২, ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজ (এনআইএআইডি) ও মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না আবিষ্কৃত এমআরএনএ-১২৭৩ এবং মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত বিএনটি১৬২বি২।
কোভিড-১৯ রোধে অন্য টিকাগুলোর দুই ডোজ দেয়ার দরকার হলেও জেনসেনের টিকাটি এক ডোজ প্রয়োগে কাজ সারার মতো করে তৈরি করা হচ্ছে।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, জেনসেনের টিকাটি সার্স-কোভ-২ আক্রমণের ফলে ফুসফুস ও নাকে জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে পুরোপুরি বা প্রায় পুরোপুরি সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
এনআইএআইডি পরিচালক অ্যান্তোনি ফাউচি বলেন, ‘সার্স-কোভ-২ শনাক্তের মাত্র আট মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চারটি কোভিড-১৯ টিকা তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গেছে। এটা বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য এক অভূতপূর্ব কীর্তি। যা সম্ভব হয়েছে টিকা প্রযুক্তিতে কয়েক দশকের অগ্রগতি এবং সরকার, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণার মধ্যে সমন্বিত ও কৌশলগত পদক্ষেপের কারণে।’