রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভিতে দেখা গেছে, রবিবার বিকালে শ্রমিকদের একের পর এক উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। এত দিন অন্ধকারে থাকার পরে তাদের স্বাভাবিক পরিবেশ দেয়ার জন্য তাদের চোখ বাধা ছিল।
গত ১০ জানুয়ারি নির্মাণাধীন এক খনিতে বিস্ফোরণে মাথায় ক্ষতের কারণে এক শ্রমিক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেসময় তাদের ভগ্যে কি ঘটছে তা অজানা ছিল।
আরও পড়ুন: চীনে সোনার খনিতে বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পরও আটকেপড়া ১২ জন জীবিত
চীনের কয়লাখনিতে অতিমাত্রার কার্বন গ্যাসে ১৮ শ্রমিকের মৃত্যু
সেসময় চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, এক সপ্তাহ আগে একটি স্বর্ণের খনিতে বিস্ফোরণের পর আটকেপড়া ২২ শ্রমিকের মধ্যে ১২ জন এখনও জীবিত আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে শতাধিক উদ্ধারকর্মী।
উদ্ধারকর্মীদের লেখা একটি নোটের উদ্ধৃতি করে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া ওইসময় বলছে যে বাকি ১০ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
হাতে লেখা নোটে বলা হয়েছে, চারজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। বাকিদের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, কেননা নির্মল বাতাস ও পানির অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৯
চীনে কয়লা খনি ধসে ২১ শ্রমিক নিহত
এদিকে, দুর্ঘটনার বিষয়টি না জানানোর কারণে খনির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি শানডং প্রদেশের ইয়ানতাই শহরের ওই খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চীনে বিভিন্ন খনিতে কাজ করেতে গিয়ে প্রতি বছর গড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এজন্য দেশটিতে খনির শিল্পে সুরক্ষার তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কয়লা এবং মূল্যবান ধাতুর চাহিদা থাকায় কর্নার-কাটিংয়ের কাজ করতে গিয়ে চঙকিংয়ে ঘটা গত বছর দুটি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন শ্রমিক মারা গিয়েছিল।