চীনের অব্যাহত হুমকির মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ও দেশটির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা ন্যান্সি পেলোসি।
মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিমানে চড়ে তাইপেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন পেলোসি। এসময় তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য তাইওয়ানি ও আমেরিকান কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। চীন তাইওয়ানকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের সফরকে দ্বীপের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেখে।
তাইওয়ানে পৌঁছার পর এক বিবৃতিতে পেলোসি বলেন, এই সফর তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকার অটল প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করে।’
পেলোসির আগমনকে ঘিরে তাইওয়ান সীমান্তের আকাশসীমায় একাধিক সামরিক অভিযান এবং মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ৪ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত একাধিক জায়গায় লাইভ-ফায়ার ড্রিল পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে। তাইওয়ানের আশেপাশের পানিতে ছয়টি ভিন্ন এলাকায় মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটনের বিশ্বাসঘাতকতা তার জাতীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকে দেউলিয়া করছে।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘কিছু আমেরিকান রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছেন। এটি অবশ্যই কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। আমেরিকার গুন্ডামিপূর্ণ মুখের উন্মোচন বিশ্বের শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।’
পেলোসি সোমবার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তার এশিয়ার সফর শুরু করেন। এই সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন।
পড়ুন: বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব