শনিবার সকালে কাশ্মীর উপত্যকায় ৫০ হাজারের বেশি ল্যান্ডফোন লাইন আবারও চালু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে থেকে সেখানে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এসব ফোন লাইন বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ পর ফোন লাইনগুলো আংশিকভাবে আবার চালু হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
কাশ্মীরে প্রায় শতাধিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে ১৭টি চালু করা হয়েছে শনিবার। মধ্য কাশ্মীরের বদগাম, সোনামার্গ এবং মণিগাম অঞ্চলে ল্যান্ডলাইন সেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, টাঙ্গমার্গ, উরি কেরান কর্নাহ এবং তাংধর অঞ্চলে সেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। শ্রীনগরের, নাগরিকদের বসবাসের স্থান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং বিমানবন্দর এলাকায় ল্যান্ডলাইনগুলো ফের চালু হয়েছে।
ইতিমধ্যে জম্মু অঞ্চলের পাঁচটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই অঞ্চলের জম্মু, রিয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া এবং উধমপুর জেলাগুলিতে টু জি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফিরে এসেছে।
গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে কাশ্মীর উপত্যকায় টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয় কারফিউ এর মতো বিধিনিষেধ চালু করা হয়। এখনও লোকজনের অবাধ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রয়েছে।
৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
শুক্রবার মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই সেখানকার স্কুলগুলো ‘অঞ্চল অনুযায়ী’ চালু হবে এবং পর্যায়ক্রমে টেলিফোন সেবাও পুনরুদ্ধার করা হবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানায় যে প্রতিদিন জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতা এখনও আটক রয়েছেন। পাশাপাশি দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী- মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।