সোমবার ৪০টি শহরে বিক্ষোভকারীদের দমাতে কারফিউ জারি ছিল। নিউইয়র্ক শহরে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন জারি ছিল। ওয়াশিংটনে আরও দুই রাতের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা’র।
বড় বড় শহরগুলোতে কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমাতে চাপের মুখে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সেনা পাঠানোর হুমকি দিলেন তিনি।
তিনি বলেন, শহরের কর্তৃপক্ষ যদি বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় অথবা ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করে তাহলে তিনি নিজেই তাদের হয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান করে দেবেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভারি অস্ত্র সজ্জিত হাজার হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছি। তারা দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা ও সম্পদের যথেচ্ছ ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করবে।’
হোয়াইট হাউজে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস মৃত্যুতে সকল মার্কিন নাগরিকেরা বিতৃষ্ণ হয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা তার স্মৃতিকে যেন নষ্ট না করে দেয়।’
কারফিউ ও অন্যান্য কড়াকড়ি সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, জর্জ ফ্লয়েডের দেহের ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুকে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রেপ্তারের সময় গলায় অতিরিক্ত বল প্রয়োগের কারণে তার হৃদযন্ত্রে রক্তচলাচল ব্যাহত হয়ে 'হার্ট অ্যাটাক' হয়েছিল।
ঘটনার সাথে জড়িত চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ডেরেক শভিনকে নরহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার আদালতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক ব্যক্তিকে জাল নোট রাখার অভিযোগে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। বর্ণবিদ্বেষ থেকেই ফ্লয়েডকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ করছেন কৃষ্ণাঙ্গরা।