দাঙ্গা শুরুর পর পাঁচ দিন চলে গেলেও কর্তৃপক্ষ এখনও বলতে পারছে না কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল। এ ছিল কয়েক দশকের মধ্যে নয়াদিল্লিতে সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। হাসপাতালগুলো এখনও লাশ চিহ্নিত করে চলেছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
সংঘাত চলাকালে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব এলাকায় পুড়িয়ে দেয়া একটি মসজিদের ছাদে জুমার নামাজ পড়েছেন প্রায় ১৮০ জন। তাদের একজন মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘যদি তারা আমাদের মসজিদ পুড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা তা পুনরায় বানাব এবং নামাজ পড়ব। এটি আমাদের ধর্মীয় অধিকার এবং কেউ আমাদের ধর্ম পালন বন্ধ করতে পারবে না।’
শুক্রবার এ এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। দাঙ্গায় আক্রান্ত একটি রাস্তায় মুসলিমরা পুড়ে যাওয়া মসজিদটিতে যাওয়ার সময় হিন্দুদের ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কয়েকজন মুসলিম বাসিন্দা এপিকে জানিয়েছেন যে বেশিরভাগ মুসলিম পরিবার ঘরে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের পাস করা বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুসলিম এবং কট্টরপন্থী হিন্দুদের মাঝে কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল এবং রবিবার রাতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরের আগের রাত।
সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কপিল মিশ্রা রবিবার এক সমাবেশে দাবি করেন যে শহরে মুসলিমদের নেতৃত্বে চলা অবস্থান কর্মসূচিটি পুলিশকে বন্ধ করতে হবে আর তা না হলে তার লোকেরা নিজেরাই বন্ধ করবে। পরে দেখা যায় তারাই বন্ধ করতে নেমে পড়ে। এ সময় সংঘাত শুরু হলে হিন্দু ও মুসলিমরা পরস্পরের ওপর বন্দুক, ছুরি, লোহার রড ও কুড়াল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এবং দাঙ্গা লাগা এলাকাগুলো পুরো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।