আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুসারে ওই অঞ্চলে রাশিয়ান শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে।
১৯৯৪ সালের যুদ্ধবিরতি যাওয়ার আগে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধে আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর থেকে আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা নাগোর্নো-কারাবাখে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে লড়াই শুরু হয়েছিল।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা হলেও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার ভোর হওয়া এ চুক্তিটির টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
গত রবিবার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর সুশির নিয়ন্ত্রণে আজারবাইজান উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ চুক্তিকে তার এবং তার জনগণের জন্য 'খুবই বেদনাদায়ক' বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ ঘোষণার পরপরই হাজার হাজার মানুষ এ চুক্তির প্রতিবাদ করতে আর্মেনিয় রাজধানী ইয়েরেভেনের মূল চত্বরে জমায়েত হয়ে স্লোগান দিয়েছেন।
চুক্তি অনুসারে, আজারবাইজানের হাতেই থাকবে নাগোর্নো-কারাবাখ। আর্মেনিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিকটবর্তী আরও কিছু এলাকা থেকে সরে যাবে। ওই এলাকায় টহল দেয়ার জন্য ১ হাজার ৯৬০ জন রাশিয়ান শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন করা হবে।