শনিবার দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন পরিবর্তিত হবে।’
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পরদিন প্রধানমন্ত্রী এ পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
হামলার পর পাঁচটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে দুটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল। এছাড়াও পুলিশ বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
জাসিন্দা আরডার্ন বলেন, ‘এটা পরিষ্কার বোঝা গেছে, হামলাকারীদের কাছে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স আছে। আমাদের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে।’
এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিন হামলাকারীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা সবাই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। কিন্তু নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসী তালিকায় তাদের নাম নেই। আটক সন্দেহভাজন আরেকজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে আটক প্রধান সন্দেহভাজন ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুজন এখনো পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচার করেছেন।
উল্লেখ, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন।