নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মোরালেস লেখেন, ‘আইনত, আমি এখনো প্রেসিডেন্ট। বলিভিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুযায়ী দাখিল করা আমার পদত্যাগপত্র আইন পরিষদ বিবেচনায় নেয়নি। যদি তা গ্রহণ করাও হয়, তারপরও তারা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার জন্য যথাযথ পদ্ধতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই (জিয়ানিন) আনেজ নিজেকে বেআইনিভাবে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন।’
তিনি জানান, আইন তাকে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারির মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ অনুমোদন করে।
মোরালেস চতুর্থবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হলে বিরোধীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের পর ১০ নভেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। ১২ নভেম্বর বিরোধী দলের সিনেট জিয়ানিন আনেজ বলিভিয়ান সিনেটের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন। যার ফলে তিনি নিজেকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার সুযোগ পান।
পরে মোরালেস মেক্সিকো যান এবং সেখান থেকে ১২ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা পৌঁছান। উভয় দেশ তাকে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার বলিভিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের’ জন্য মোরালেসকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
‘এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অন্যায্য, অবৈধ ও অসাংবিধানিক। কারণ এটি আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী হয়নি। আমি এখনো প্রেসিডেন্ট এবং এ কারণে বলিভিয়ার আইনি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেনে চলতে হবে,’ বৃহস্পতিবার টুইট করেন মোরালেস।
বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন লোঙ্গারিক জানিয়েছেন, তাদের সরকার আশা করছে যে মোরালেসকে গ্রেপ্তারে আর্জেন্টিনা সরকার সাহায্য করবে।