ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ তাদের সিদ্ধান্তে জানায় যে ১৫৮ বছরের পুরনো আইনটি অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ২১ নম্বর (জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার) ও ১৪ নম্বর (সমতার অধিকার) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
সেই সাথে সর্বোচ্চ আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৮(১) এবং ১৯৮(২) ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। এই ধারা দুটি অনুযায়ী স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করা পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন স্বামী।
ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র রায় ঘোষণাকালে বলেন, পরকীয়ার ঘটনা বিয়ে বিচ্ছেদসহ অন্যান্য দেওয়ানি ইস্যুর ভিত্তি হতে পারে, কিন্তু এটা ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে না।
একজন স্ত্রী স্বামীর অস্থাবর সম্পত্তি নয় জানিয়ে দীপক মিশ্র বলেন, আইনের যেকোনো বিধি যা ব্যক্তির মর্যাদা এবং নারীর সমঅধিকারে প্রভাব ফেলে তা সংবিধানের কোপে পড়বে। এখন বলার সময় এসেছে যে একজন পুরুষ তার স্ত্রীর মনিব নয়। এক লিঙ্গের ওপর আরেক লিঙ্গের আইনি সার্বভৌমত্ব অন্যায়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সঙ্গীর পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অসন্তুষ্ট কেউ নিজের জীবনের ইতি টানলে এবং পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করা গেলে সেই ঘটনা আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আদালত আরো জানায়, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা স্পষ্টভাবে বিধিবহির্ভূত এবং নারীর মর্যাদাকে লঙ্ঘন করে।