ইমরান খানের প্রস্তাবের পরই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এসময় তার সরকার পতনের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে আচমকা অধিবেশন শেষ করে দেন।
রবিবারের অনাস্থা প্রস্তাবটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিনের অধিবেশনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘শাসক পরিবর্তন করার জন্য ‘বিদেশি শক্তির’ সঙ্গে যোগসাজশ করার অভিযোগ করেন।
এর কিছুক্ষণ পরই ইমরান খান জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে বলেন, আমি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছি।
ইমরান তার ভাষণে আরও বলেন, আমি জনগণকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বলছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ, সরকার পতনের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।
ইমরান খানের প্রস্তাবের পরই রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
বিরোধী যেসব দল পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের দাবি করেছিল, তারা ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা ভোট খারিজের রায়কে অবৈধ বলে অভিহিত করেছে। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে ১৭২ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার ছিল ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানের। এজন্য ইমরান খানকে জোট গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ইমরানের জোটের অংশীদাররা এবং তার নিজের দলের ১৭ জন সদস্য তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।
রবিবার সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে সংসদীয় রীতি অনুযায়ী এজন্য তিন থেকে সাত দিনের বিতর্কের নিয়ম রয়েছে। যদিও বিরোধীরা জানায় তাৎক্ষণিক তাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোট রয়েছে।