ঘোষণা
কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের পরিবর্তে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে ক্যাম্পাসে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা আন্দোলনের মুখপাত্র ও অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম।
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে তারা সারাদেশের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।
তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় ২৫০ শিক্ষার্থী আহত
এদিন বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা শনিবার
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা শনিবার বিকালে তাদের আন্দোলনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবু বকর মজুমদার বলেন, সারাদেশের ক্যাম্পাস থেকে আন্দোলনের সব সমন্বয়কারী অনলাইন ও অফলাইন উভয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পরামর্শ করবেন এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসবেন।
মজুমদার বলেন, আগামীকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।
এর আগে ঢাকার বাইরে কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শাহবাগে মোড়ে এসে অঘোষিতভাবে সড়ক অবরোধ করে।
পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
সেখানে আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ ছাড়ার আগে মজুমদার আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণার পর বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষণের বিষয়টি বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এরপর ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলুপ্ত করাকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
কোটা সংস্কার: বুধবার সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড' ঘোষণা
কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে বাংলা ব্লকেড ( বাংলা অবরোধ) কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সোমবার(৮ জুলাই) তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা অবরোধ এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তবে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি পালন করেননি।
মঙ্গলবার(৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আরেক সমন্বয়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে আন্দোলন করছি না। বরং আমরা এই ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিছু গণমাধ্যম আমাদের দাবির ভুল ব্যাখ্যা করেছে। এই আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটার বিরুদ্ধে। এখন আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। কৃষক, শ্রমিক-প্রবাসী সকলেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম আজ বিকালে এ দিন ধার্য করেন।
গত ৪ জুলাই রিট আবেদনকারীর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
এরপর কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
এমন পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কারকারীরা চাইলে আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে।
পরে সরকার ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।
গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সাময়িকভাবে বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর লিভ টু আপিল করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
বিমানকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা এমডির
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ এগোতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
রবিবার কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতিস্থাপন করছে বিমান বাহিনী
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, এখানে যারা দুর্নীতি করেছে বিভিন্ন লেয়ারে, তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারো বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকেটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘টিকিট নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে তা নিয়ে কাজ করছি, টিকিট নেই, আবার সিট ফাঁকা এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হতে চাই। এ বিষয়ে পুরোপুরি ডিজিটাল সল্যুশনের পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘টিকিটিংয়ের সমস্যা আমি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই। এটি নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে; প্রশ্ন উঠলেও আমরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিতে পারি৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা।’
এমডি বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’
গত বছর বিমান ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। এ বছরও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কার্গো থেকে ১২০০ কোটি আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন বলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর অনুযায়ী, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতে সরকার গঠনের পর এটাই হবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গেও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। এছাড়া নতুন কিছু উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা বলেন, দুই দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার কিছু নির্দেশনা থাকতে পারে।
১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি হবে নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
মঙ্গলবার(১৮ জুন) এক জেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে বিষয়টি আলোচনায় থাকবে। বিস্তৃত তিস্তা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক প্রকল্প নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা হবে।
এর আগে গত ৯ মে ভারত বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে, যা 'তিস্তা রিভার কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টুরেশন প্রজেক্ট' নামে পরিচিত।
গত ৯ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা জানেন, তিস্তা নিয়ে আমরা একটা বড় প্রজেক্ট নিয়েছি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ দেখতে চাই।’
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়ন করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে এবং সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্র নিয়ে কিছু ঘোষণা দেওয়ার বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সম্পর্কের ধারাবাহিকতা থাকবে এবং আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নতুন উদ্যোগ দেখার আশা করি।’
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নতুন ম্যান্ডেটের ধারাবাহিকতায় দুই প্রতিবেশী দেশে নতুন সরকার গঠিত হওয়ায় তারা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, '২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা যা রেখে এসেছি তা নিয়ে একটি স্টক-টেকিং হবে এবং আমরা আগামী পাঁচ বছরে সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরকালে আগের আলোচনার কথা স্মরণ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সম্পর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন, যেটির খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগের উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনারও আশা করা হচ্ছে।
গত এক দশক ধরে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ২২ জুনের মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ বলছে ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। আর বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করে না। ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে ছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী। ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। আমরা একে অপরকে সমর্থন করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (দিল্লি সময়) প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং রাত ৯টার দিকে ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জরুরি বিভাগ রয়েছে। যেকোনো রোগীকে সেখানে প্রথম সেবা দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ খাতেও জরুরি সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাণি সম্পদের সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হলে যারা প্রাণিকে সেবা দেয়, তাদের সেবাকেও জরুরি সেবার অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ খাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে এটি দরকার। তাই প্রাণিসম্পদসেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের আয়োজনে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানিতে চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুর যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। দেশবাসী এবার ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবে। কোনো চিন্তার কারণ নেই।
চামড়া প্রাণিসম্পদের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চামড়ার দাম নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ, ও বাজারজাতকরণের কাজে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমিষ জাতীয় খাবার খেলে সুষমভাবে দেহ ও মনের গঠন হয়। তাই এ খাতকে অবহেলা করে উন্নতি করা যাবে না। এখাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মানুষের জীবনে পূর্ণাঙ্গ সফলতা চাইলে প্রাণিসম্পদকে বাদ দিয়ে তা করা সম্ভব নয়।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক ফেলোশিপের এ ধরনের উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি লাভবান হবে। কারণ সাংবাদিকেরা প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। আর মানুষের মানুষের স্বপ্ন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা রাষ্ট্রের গৌরবের অংশ।
অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ সম্পন্নকারী প্রত্যেককে ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় এবং ফেলোশিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া এ দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ডেইলি অবজারভারের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার শান্ত সিংহ, তৃতীয় হন বিজনেস পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার রোকন উদ্দীন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন বাংলাভিশনের প্রতিবেদক মাইনুল ইসলাম শোভন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও তৃতীয় হন জিটিভির প্রতিবেদক মো. বায়েজিদ হোসেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এবং পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম, এলডিডিপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী বক্তব্য দেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুকনুজ্জামান অঞ্জন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিপ্রেক্ষিতের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফাতেমা ইসলাম।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআইর প্রেস ও মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।
এছাড়া সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনসহ গণমাধ্যমের উপর আরোপিত করের বোঝা সহনীয় করার দাবি জানিয়েছে এই কমিটি।
মঙ্গলবার (মে ২১) সকালে এফবিসিসিআই আইকনে এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে দেশের গণমাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সমূহ চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে এই শিল্পের সব অংশীজনকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির তাগিদ দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সংবাদ মাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম. শোয়েব চৌধুরী বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। কাজেই অন্যান্য খাতের ন্যায় সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, কাগজ, কালি, ছাপার যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত কর কমিয়ে আনা দরকার। টেলিভিশনের ব্যান্ডউইথের উপরও বিদ্যমান কর কমানো প্রয়োজন।
সম্পূরক বাজেটে প্রেস ও মিডিয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ এই শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. রাকিবুল আলম (দিপু) বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সংকট দূর করতে কমিটির উদ্যোগে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তথ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে শিগগিরই সেমিনার আয়োজন করা হবে।
এজন্য কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- সংবাদ মাধ্যমের জন্য কর সহনীয় করা, সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, এ খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ প্রাপ্তি সহজীকরণ, ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে পত্রিকা সমূহের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত বিল দ্রুত পরিশোধ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
এছাড়া, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআইর উদ্যোগে প্রতি ৩ মাস পর পর সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, সম্পাদকসহ, ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত সৌজন্য সভা আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।
পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে উৎসাহ ও ইয়েলো জার্নালিজমকে (হলুদ সাংবাদিকতা) নিরুৎসাহিত করা ও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ও মুক্ত আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক এম. শোয়েব চৌধুরী।
ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. রাকিবুল আলম (দিপু)।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব গভর্নরসের (পিডিবিএফ) সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, দ্য ব্লেজার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রাজিব ইউ. এ. চপল, এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল এনডিসি, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আক্কাস মাহমুদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, তাওহিদা সুলতানা ও এজাজ মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ৩ দিন পর সুন্দরবনে আগুন নেভানোর ঘোষণা
মুসলিমদের বাদ রেখেই নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা ভারতের
ভারতে মুসলিমদের বাদ রেখেই ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য বিধি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
সোমবার (১১ মার্চ) আসন্ন ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় যাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা উল্লেখিত তিনটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইনটি ভারতের সংসদে ২০১৯ সালে অনুমোদিত হলেও রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মোদি সরকার এর বাস্তবায়ন আটকে দেয়। সেসময় কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভগুলো সব ধর্মের অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। সে সময় তারা বলেছিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ভারতের ভিত্তিকে দুর্বল করে। মুসলমানরা বিশেষত উদ্বিগ্ন ছিল, সরকার তাদের কোণঠাসা করার জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের সঙ্গে আইনটি ব্যবহার করতে পারে।
অবৈধভাবে ভারতে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও নির্মূল করতে মোদি সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। নিবন্ধনটি কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশব্যাপী অনুরূপ নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
মোদির সরকার ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বহাল রেখেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন শুধু নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এই নিয়মের আওতায় এখন থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, 'নির্বাচনের মেরুকরণের জন্যই এর ঠিক আগের সময়টিতে এটি ঘোষণা স্পটতই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে এই আইনটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি সমতাভিত্তিক সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, আইনটি 'ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয়' এবং 'এর কাঠামো ও উদ্দেশ্য বর্জনীয়'।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ ভারতে ২০ কোটি মুসলমান রয়েছে, যারা বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তারা ভারতের প্রায় প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির দল প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ধারাবাহিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, মুসলিমবিরোধী সহিংসতার বিষয়ে মোদির স্পষ্ট নীরবতা তার কিছু চরমপন্থী সমর্থককে উৎসাহিত করেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
মোদি এমন একটি ফর্মুলায় ক্রমান্বয়ে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন যা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তিনি উত্তর অযোধ্যায় একটি মসজিদকে ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। যা তার দলের দীর্ঘদিনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বেশিরভাগ জরিপ বলছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে মোদি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
মসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী টজুর ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা
আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করলেন হাতি প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান টজু।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
তিনি বিজয়ী হলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন সাদেকুল।
এ ছাড়া নগরীর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দুর্ভোগ লাঘব করা, নগরীকে যানজট ও বায়ূ দূষণমুক্ত করা, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওভার ব্রিজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম আধুনিক, প্রশস্ত ও উন্নত করা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করে এর নাব্য ফিরিয়ে আনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি ।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে এর সুনাম বৃদ্ধি করাসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি নির্মিতব্য স্টিল আর্চওয়ে ব্রিজকে বিবেচনায় নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা,
পরিকল্পিতভাবে পার্ক, পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ করা বরে বলেও জানানেএ প্রার্থী।
এ ছাড় খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করে যুব সমাজকে মাদকাসক্তি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
ইশতেহারে আরও বলা হয়, শশীলজ, জয়নুল যাদুঘরসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পরিষ্কার ও জঞ্জাল মুক্ত করা এবং আনন্দ মোহন কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরীত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদেকুল হক খান বলেন, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করি আমার নির্বাচনে নৌকার এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত’র সমর্থন আছে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহমেদ খান, সদস্য বদর উদ্দিন আহাম্মদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ ও সদস্য আল নুর রাজিব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কৃষিবিদ সামছুন নাহার শারমীনসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে প্রণোদনা দিতে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিতে সরকার বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণকারী ও কৃষিজমির মাটি ক্ষয়কারী ইটভাটা বন্ধ করে আধুনিক পদ্ধতির ব্লক ইটের ব্যবহার পুরোপুরি চালু করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সমৃদ্ধ করে অবিলম্বে বিতরণ শুরু করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনী সার্কিট হাউসে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পুরোনো ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো যাতে আবার চালু হতে না পারে সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৌরসভাগুলোর বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধসহ পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র না নিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতাও পরিহার করতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য প্রতিদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না তদারকি করতে হবে।
একই সঙ্গে জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধার এবং নগর ও উপকূলীয় বনায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর