ঘোষণা
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা
নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি বলেছেন, ‘তিনি অফিস ছাড়ছেন। দেশটির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্দুক হামলায় হত্যাকাণ্ড ও করোনাভাইরাস মহামারির প্রাথমিক পর্যায় পরিচালনার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার দেশটির উপকূলবর্তী শহর নেপিয়ারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ কার্যদিবস।
আরডার্নে নিজ দেশে এমন কিছু রাজনৈতিক চাপ এবং এমন কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে তিক্ত সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। তার আগে দেশটির কোনো নেতা এগুলোর সম্মখীন হননি। তবুও,তার এই ঘোষণা ৫০ লাখ মানুষের দেশটিতে বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আরডার্ন বলেন,‘অফিসে আমি ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছি এবং এই বছরগুলোতে আমি আমার সব কিছু দিয়েছি।’
তুলনামূলক কম বয়সে ২০১৭ সালে যখন ৩৭ বছর বয়সী আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্বজুড়ে নারীদের মাঝে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠেন।
ব্যক্তিজীবনে অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মতো তিনি বিবাহিত ছিলেন না। খণ্ডকালীন ডিজে হিসেবে কিছু মিউজিক রেকর্ড করেছেন তিনি। সবকিছু মিলিয়েই তিনি এক নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সূচনা করেছিলেন।
অনেকেই মনে করেন যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী ছিলেন।
২০১৮ সালে অফিসে থাকা অবস্থায় তিনি সন্তান জন্ম দেন। ওই বছরের শেষের দিকে তিনি তার শিশু কন্যাকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: আবারও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আরডার্ন
২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার দিনের সম্মুখীন হন আরডার্ন। সেদিন এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন এবং দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি যেভাবে সহানুভূতি দেখিয়েছেন তা বিশ্বজুড়ে বেশ প্রসংসিত হয়েছে।
৯ মাসেরও কম সময় পরে তাকে আরেকটি ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে হয়। সেবার হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ২২ জন পর্যটক ও গাইড নিহত হন।
আরডার্ন তার দেশে করোনভাইরাস মহামারির প্রাথমিক পর্যায় পরিচালনার জন্যও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছন, আরডার্ন বিশ্বকে দেখিয়েছেন কীভাবে মেধা ও শক্তি দিয়ে নেতৃত্ব দিতে হয়।
আলবানিজ টুইট করে জানান, তিনি দেখিয়েছেন যে সহানুভূতি ও অন্তর্দৃষ্টি শক্তিশালী নেতৃত্বের গুণাবলী।
তিনি আরও বলেন, জেসিন্ডা অনেকের অনুপ্রেরণা এবং আমার একজন ভালো বন্ধু।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে আরডার্নকে তার বন্ধুত্ব, সহানুভূতিশীল, শক্তিশালী ও অবিচল নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আরডার্ন ঘোষণা করেন যে নিউজিল্যান্ডের ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচন ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি একজন আইনপ্রণেতা থাকবেন।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন তা স্পষ্ট নয়।
উপপ্রধানমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন ঘোষণা করেছেন যে তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্বের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারা রবিবার নতুন নেতার জন্য ভোট দেবেন। যদি কোনো প্রার্থীই ককাস থেকে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না পায়, তাহলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা চলে যাবে বৃহত্তর দলের সদস্যপদে।
আরডার্ন সুপারিশ করেছেন যে তিনি ৭ ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব শেষ করার সময় পার্টি তার স্থলাভিষিক্ত বেছে নেবে।
আরও পড়ুন: জেসিন্ডা আরডার্নের প্রতি কৃতজ্ঞ তামিম ইকবাল
৪ জেলায় বিএনপির কমিটি ঘোষণা
দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ঢাকা, ভোলা, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ঢাকা জেলা শাখায় খন্দকার আবু আশফাককে সভাপতি ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এরফান ইবনে আমান অমিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অমি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
এদিকে, গোলাম নবী আলমগীরকে আহ্বায়ক, শফিউর রহমান কিরণকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাইসুল আলমকে সদস্য সচিব করে ভোলা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।আবুল হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা গঠন করেছে দলটি।এছাড়া মামুন মাহমুদকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, খন্দকার মাশুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশাররফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জেল হত্যা দিবস’কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস পালন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় সেদিন খুন হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়, তখন একটি উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের একটি সিরিজ সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাদের।
নিহত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপদস্থদের সামলাতে হবে।
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোরে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনটি শুরু করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলীয় নেতারা।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ-মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহীতে এএইচএম কামরুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় যেখানে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
আশিয়ান: বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য না থাকার ঘোষণা মিয়ানমারের
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন যে মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়নি এবং তারা দেশটিতে সহিংসতা বন্ধে দৃঢ় সংকল্প বৃদ্ধিতে ঐক্যমত হয়েছে। দেশটিতে গত বছর একটি সামরিক অভ্যুণ্থানের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে যা এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
রবিবার মিয়ানমারের কাচিনে সামরিক বিমান হামলা চালিয়ে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা এবং জুলাই মাসে রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্থা (আশিয়ান) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে৷
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় মিয়ানমারের ওপর এক বিশেষ বৈঠকে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন যে তাদের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। গত বছরের এপ্রিলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে গ্রুপটি পাঁচ দফা ঐকমত্যে পৌঁছেছে তার বাস্তবায়নকে শক্তিশালী করতে ‘জোরলো, বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই আসিয়ান অন্তর্ভুক্ত মিয়ানমারে শান্তি স্থাপনের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
পাঁচ দফা ঐকমত্য অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে একটি সংলাপ, একজন আসিয়ান বিশেষ দূতের মধ্যস্থতা, মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিশেষ দূতকে মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে সম্মত হলেও তারা এটি বাস্তবায়নে খুব কম চেষ্টা করে। মানবিক সাহায্য এবং আসিয়ানের দূত কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোনকে স্বল্প পরিসরে সফর করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তাকে সু চির সাথে দেখা করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। সু চিকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
এসবের প্রতিক্রিয়ায় আসিয়ান জোট মিয়ানমার নেতাদের তাদের অফিসিয়াল বৈঠকে অংশ নিতে দেয়নি। যদিও কর্মরত পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন।
সর্বশেষ আশিয়ান বৈঠকের সভাপতিত্বকারী প্রাক সোখোন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বৈঠক থেকে বলা হয় যে, আসিয়ানের নিরুৎসাহিত হওয়া উচিত নয়, বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে মিয়ানমারকে সাহায্য করতে আশিয়ান আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্য বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় মন্ত্রীরা তাদের উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন ‘অগ্রগতির পরিবর্তে পরিস্থিতির অবনতি এবং অবনতি হচ্ছে বলেও বৈঠকে বলা হয়।
মারসুদি আরও বলেন, ‘আবার সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ ‘সহিংসতা বন্ধ না করলে এই রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের কোনও অনুকূল পরিস্থিতি থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে যে এটি ‘বৈঠকের ফলাফলের দ্বারা তারা প্রভাাবিত হবে না। কারণ বৈঠকে মিয়ানমারের উপস্থিতি ছাড়াই আসিয়ানের অন্য নয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জোর দিয়েছে যে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সহযোগিতা করে। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালানোর পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পাঁচ দফা রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকটি ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত হলো। আসিয়ানের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনায় থাকবে মিয়ানমার সংকট। এই সমস্যাটি গ্রুপের ঐক্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আশিয়ান সদস্যরা ঐতিহ্যগতভাবে একে অপরের সমালোচনা করা এড়িয়ে চলে। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতাকে ব্যাপকভাবে দেখা হয়। একটি ভূ-রাজনৈতিক এবং মানবিক জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় গোষ্ঠীটির দুর্বলতা প্রকাশ করে যা তাদের সকলকে প্রভাবিত করতে পারে।
ক্রমবর্ধমান শরণার্থী মিয়ানমার ছেড়ে পুরো অঞ্চল জুড়ে আশ্রয় খুঁজছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে আনুমানিক সাত লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছে। সংস্থাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে য, এসব জনগণকে যেন ওইসব দেশের সরকারগুলো মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করে।
এই সংস্থাটির গবেষক শায়না বাউচনার বলছেন, ‘জান্তার সহিংসতা এবং নিপীড়ন থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের রক্ষা করার পরিবর্তে আঞ্চলিক নেতারা মিয়ানমারের শরণার্থী এবং অন্যান্য নাগরিকদের ক্ষতির পথে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে নির্বাসন ত্বরান্বিত করেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে তাদের আশ্রয়ের দাবিগুলো অবজ্ঞা করে গত এপ্রিল থেকে দুই হাজার জনেরও বেশি লোককে ফিরিয়ে দিয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা যাচাই না করেই মিয়ানমারের সীমান্তে ফিরিয়ে দিয়েছে।
আসিয়ান গঠিত হয়েছে- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
পদত্যাগ করার ঘোষণায় যা বললেন ট্রাস
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগের ঘোষণা দিতে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বক্তব্য দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৪৫ দিন পর লিজ ট্রাস ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগামী সপ্তাহের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করছেন।
এখানে তার সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি একটি বড় অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছি। যেসময় পরিবার এবং ব্যবসাগুলো কীভাবে তাদের বিল পরিশোধ করবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধ আমাদের সমগ্র মহাদেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশকে অনেক দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
লিজ ট্রাস বলেন ‘আমি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এটি পরিবর্তন করার ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা জ্বালানি বিল দিতে জাতীয় বীমা কেটেছি এবং আমরা একটি স্বল্প কর নির্ভর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করেছি যা ব্রেক্সিটের স্বাধীনতার সদ্ব্যবহার করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, যদিও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমি যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছি তা আমি পূরণ করতে পারব না। আমি তাই মহামান্য রাজার সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি যে আমি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করছি।’
পদত্যাগী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সকালে আমি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি নেতৃত্ব নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি নিশ্চিত করবে যে আমরা আমাদের আর্থিক পরিকল্পনাগুলো সরবরাহ করার এবং আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার পথে রয়েছি।’
লিজ ট্রাস আরও বলেন, ‘উত্তরসূরি নির্বাচন না করা পর্যন্ত আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকব। ধন্যবাদ। ‘
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নবনির্বাচিত নেতা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
১৪ অক্টোবরের মধ্যে বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা হতে পারে
দেশের রাষ্ট্রচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার প্রস্তাবের পর কর্তৃপক্ষ ১৪ অক্টোবরের আগে যে কোনো সময় সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে।
রবিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অক্টোবর মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম কমানোর বিষয়ে একথা বলেন।
তবে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্কের কোনো সমন্বয় বিদ্যুতের বর্তমান খুচরা মূল্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বিইআরসি আইন অনুযায়ী বিদ্যুৎ বা জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয়ে গণশুনানির পর ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার বিধান রয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ গণশুনানি হয় ১৮ মে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা তিনগুণ বাড়বে: প্রতিমন্ত্রী
গণশুনানির সময় বিপিডিবি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, যখন বিইআরসি-এর একটি প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল।
কিন্তু গণশুনানির পর, বিইআরসি অংশীজনদের শুনানির প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য প্রাসঙ্গিক নথি জমা দেয়ার জন্য অতিরিক্ত দিন বাড়িয়েছে।
বিইআরসির এক সদস্য জানান, এই অতিরিক্ত সময়ের সঙ্গে বিইআরসি এখন ৯০ দিন গণনা করছে এবং নির্ধারিত সময় ১৪ অক্টোবর শেষ হবে।
যে কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে অংশীজনদের যুক্তি ও পাল্টাযুক্তি শুনে পাঁচ সদস্যের কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
যদিও এই সমন্বয়ে বাল্ক বিদ্যুতের ওপর প্রভাব ফেলবে না। তবে এটি অবশ্যই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে। যারা বিপিডিবি থেকে তাদের খুচরা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ কিনে থাকে।
একজন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয় আসে, তাহলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে, যা গ্রাহকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
১৮ মে গণশুনানিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ভোক্তা অধিকার গোষ্ঠীগুলো শুনানিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করেছিল। কেননা মূল্যবৃদ্ধির ফলে আগে থেকেই মানুষ ধুঁকছে।
ভোক্তা অধিকার গোষ্ঠীগুলো এ প্রস্তাবটিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে বলেন, বিপিডিবি অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উচ্চ হারে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক চর্চা দূর করে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে, বিপিডিবি কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সংস্থাটির বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিকে সরবরাহ করতে ৮৮ হাজার ৯৯৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ৭৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা রাজস্বের প্রয়োজন হবে।
শুনানিতে বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু যদি বিপিডিবি তার বর্তমান বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি করে, তাহলে ২০২২ সালে তাকে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই, বিপিডিবিকে বিদ্যুতের দাম ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা বৃদ্ধি করতে হবে। ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৫৬ পয়সা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চুরি করা বিদ্যুতে চলছে ৫০ হাজার অটোরিকশা
সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নারী ফুটবলারদের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘নারী ফুটবল দল অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং ঐতিহাসিক অর্জনের মাধ্যমে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে।
আরও পড়ুন: বাঘিনীদের বিজয়যাত্রা: ছাদখোলা বিজয়ীদের বাস যে রুট দিয়ে যাবে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের প্রতি সমর্থন ও স্বীকৃতি হিসেবে আমি বিসিবির পক্ষ থেকে পুরো দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করছি। আমি নিশ্চিত যে, সাফ জয়ের এই সাফল্য দেশের সকল ক্রীড়াবিদ ও নারীদের নিজ নিজ বিভাগে আন্তর্জাতিক গৌরব অর্জনের জন্য ব্যাপকভাবে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। তার আগে সেমিফাইনালে হট ফেভারিট ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের নারীরা প্রথমবারের মতো সাফ জিতেছে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের পুরুষরা ঢাকায় মালদ্বীপকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।
আরও পড়ুন: রূপনা ও রিতুকে বরণ করতে প্রস্তুত নানিয়ারচরবাসী
ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রজার ফেদেরারের অবসরের ঘোষণা
২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রজার ফেদেরার ৪১ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
হাঁটুর অপারেশনের পর এই বিখ্যাত তারকা খেলোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ এর সঙ্গে পুরুষদের টেনিসে একটি সোনালী যুগ তৈরি করেছেন।
ফেদেরার বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে অবসরের ঘোষণাকে একটি ‘তিক্ত মধুর সিদ্ধান্ত’ বলে পোস্ট করেছেন।
এর আগে গত এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ২৩ বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসও তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এক্ষেত্রে, খেলাধূলার ইতিহাসে দুজন সেরা ক্রীড়াবিদের প্রস্থান একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ফেদেরার টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন গত তিন বছর আমাকে ইনজুরি ও অস্ত্রোপচারের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ ফর্মে ফিরে আসার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি আমার শরীরের ক্ষমতা ও সীমাও জানি এবং ইদানীং আমার কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।’
ফেদেরার ২০২১ সালের জুলাই মাসে উইম্বলডনের পর থেকে আর কোনো ম্যাচে খেলেননি।
তবে তিনি এই জুলাইয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে সেন্টার কোর্টের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তিনি ‘আরও একবার’ সেখানে খেলতে ফেরার আশা ব্যক্ত করেছিলেন।
ফেদেরার আরও বলেছিলেন যে তিনি অক্টোবরে সুইস ইনডোরে নিজ দেশে টুর্নামেন্ট অ্যাকশনে ফিরবেন।
বৃহস্পতিবারের ঘোষণায়, ফেদেরার বলেন যে তার বিদায় অনুষ্ঠানটি পরের সপ্তাহে লন্ডনে ল্যাভার কাপ হবে। এটি তার পরিচালনা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি টিম ইভেন্ট।
ফেদেরারের স্ত্রী মিরকাও একজন টেনিস খেলোয়াড়; এক অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাদের দেখা হয়েছিল। তাদের দুটি যমজ সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থা থেকে টেনিসে ফেরা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেন সেরেনা
রিয়াদকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২-এর জন্য বুধবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আসন্ন এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখা হয়নি।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের হয়ে খুব ভালো করেছে, তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকালে সে আমাদের পরিকল্পনার অংশ নয়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচক, কোচ এবং বোর্ডের সাথে জড়িত সবার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।‘
মিনহাজুল আরও বলেন, নতুন টি-টোয়েন্টি কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন এবং তাতে মাহমুদউল্লাহর জন্য কোনো জায়গা নেই।
বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। এশিয়া কাপে ভালো করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। এর আগে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ভালো পারফরমেন্স করতে ব্যর্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা, যাবেন না সাকিব
মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের মতো সিনিয়রদের খেলা মিস করবে বাংলাদেশ। কারণ দুজনেই সম্প্রতি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন।
বিশ্বকাপের টি-২০ স্কোয়াড থেকে উপেক্ষা করায় মাহমুদউল্লাহর এই ফরম্যাটে ক্যারিয়ার অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে গেছে।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে সবার খেলার সুযোগ আছে। তবে এটা পরিষ্কার যে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।’
বিশ্বকাপ দলে যোগ করা হয়েছে টপ অর্ডার ব্যাটার সাব্বির রহমানকে। কিন্তু আলোচনায় থাকা সৌম্য সরকারকে উপেক্ষা করা হয়েছে। দলে অবশ্য নাজমুল হোসেন শান্তকে যোগ করা হয়েছে। যার ফরম্যাটে কোনো বিশেষ পারফরম্যান্স নেই।
মিনহাজুল বলেন, ‘অধিনায়ক ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে আলোচনা করে নাজমুল ইসলাম শান্তকে দলে যোগ করা হয়েছে।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে অংশ নেবে। যেখানে পাকিস্তানও থাকবে।
আগামী ৭ অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
বিশ্বকাপের সুপার ১২ রাউন্ডে গ্রুপ দুইয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে থাকবে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি দল।
টাইগাররা তাদের প্রথম ম্যাচে ২৪ অক্টোবর মাঠে নামবে এবং তাদের অন্যান্য ম্যাচ ২৭, ৩০ অক্টোবর এবং ২ ও ৬ নভেম্বর।
সুপার ১২ রাউন্ডের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে যা ৯ ও ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, নাজমুল হোসেন শান্ত।
স্ট্যান্ডবাই
শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে অবিলম্বে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের অধীন ভাটরায় বিএনপির তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হাজার হাজার বন্যার্ত মানুষ যখন অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত।
তিনি বলেন, ‘দেশে বন্যা চলছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তরের নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বড় নদীগুলোর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ‘বন্যার পানি ফসল, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু এবং মানুষের মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন,‘আমরা এই এলাকাগুলোকে অবিলম্বে বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার এবং কোনও বিলম্ব ছাড়াই এইসব এলাকার মানুষকে ত্রাণ সরবরাহ করার দাবি জানাই। এই দুঃসময়ে সরকার উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তারা পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এতই ব্যস্ত যে জনগণের কল্যাণ ও জনদুর্ভোগের দিকে তাকানোর সময় নেই।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হিসেবে দেশ বন্যার মুখে পড়ছে। ‘কিন্তু সেই বন্যা রোধ করা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো সরকারের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি বলে আক্ষেপ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, সরকার অনেকদিন ধরেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার কথা বলে আসছে, কিন্তু এখনো তা হয়নি।
ফখরুল বলেন, তারা (ভারত) যখন হঠাৎ করে ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়, তখন পানির চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। ‘সিলেট, সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চল এখন এই সমস্যার সম্মুখীন। এটা এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং জনগণের প্রতি অবহেলার প্রমাণ’।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বন্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন হাওর ও অন্যান্য অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত অনেক বাঁধ, সেতু ও রাস্তা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা প্রতিরোধে এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় জনদুর্ভোগ কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল